প্রথম ক্লাস : সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স :
প্রাইস যখন ডাউনে আসে একটি টার্নিং পয়েন্টে এসে রিভার্সেল হয় যেখানে বায়ার আসে এবং সাপ্লাই ও ডিমান্ড চেহারা চেঞ্জ হয়। আগে সাপ্লাইয়ের প্রাধান্য ছিল এখন ডিমান্ডয়ের প্রাধান্য হয়েছে। এ টার্নিং পয়েন্ট মার্কেট তৈরি করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এটি তৈরি করতে পারিনা । এটা মার্কেট জেনারেটেড সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স। এ লেভেলকে কে যত ধরনের ইনভেস্টর বা সাধারণ বিনিয়োগকারী আছেন সবাই চার্টে দেখতে পান। সাপোর্ট লেভেল এ রিভার্সেল ফর্মেশন বা প্যাটার্ন দেখে তখন ইনভেস্টর বা সাধারণ বিনিয়োগকারী ইনভেস্ট করে।
প্রথমে চার্ট থেকে সব ইন্ডিকেটর সরিয়ে ফেলুন। চার্টে শুধু ক্যান্ডেল আর ভলিউম রাখুন । এরপর লাইন টানতে হবে । যেখানে টার্নিং পয়েন্টে হাই সেখান থেকে একটি লাইন টানতে হবে এটি হয়ে গেল আমাদের রেজিস্ট্যান্স । এটি হয়ে গেল আমাদের রেজিস্ট্যান্স লাইন। যেখানে টার্নিং পয়েন্ট এর লো সেখান থেকে একটি লাইন টানতে হবে । এটি হয়ে গেল সাপোর্ট । এটি হয়ে গেল সাপোর্ট লাইন।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লাইন ভার্সেস জোন:
জোন হলো আপার উইক । ক্যান্ডেলের উইক হলো ক্লোজিং পয়েন্ট থেকে হাই পয়েন্ট পর্যন্ত যে গ্যাপ বা পার্থক্য । উপরের টি রেজিস্টেন্স জন এবং নিচেরটি সাপোর্ট জন ।
বিভিন্ন প্রকার সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্সের নাম :
১. আপ / ডাউন ট্রেন্ডের সুইং হাই ও সুইং লো লেভেল।
২. হরিজেন্টাল সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল।
৩. ডায়নামিক বা গতিশীল সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল ( মুভিং এভারেজ , ট্রেন্ড লাইন , বিভিন্ন ইন্ডিকেটর ) ।
৪. রেঞ্জের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল ।
৫. রাউন্ডিং নাম্বারের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল ।
৬. ফিবোর বিভিন্ন রিট্রেসমেন্ট লেভেল।
৭. বিভিন্ন ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল।
৮. হারমনিক প্যাটার্নের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স কিভাবে ট্রেড সেটআপ করব:
একটি ট্রেডিং স্ট্রাটেজি:
কয়েকটি জনপ্রিয় টপ ট্রেডিং স্ট্রেটেজি
টপ ট্রেডিং স্ট্রেটেজিয়ের মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় স্ট্রেটেজি হল ১. ব্রেকআউট ট্রেডিং স্ট্রেটেজি ২. রিট্রেসমেন্ট স্ট্রেটেজি ৩. রিভার্সাল স্ট্রেটেজি ৪. মোমেন্টাম স্ট্রেটেজি ৫. পুলব্যাক বা পুলথ্রু স্ট্রেটেজি। আমরা ট্রেড নিবার পরও আমরা বার বার কেন ব্যর্থ হচ্ছি তার রুট কজ এনালাইসিস বেশি বেশি করতে হবে। রুট কজ এনালাইসিস এর জন্য আমরা ফিশবোন ডায়াগ্রাম, ৫ হোয়াই, পেরোতো চার্ট বা অন্যান্য জনপ্ৰিয় এনালাইসিস টুলস গুলি ব্যবহার করতে পারি।
চার্টে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স কেন এবং কেন আমরা সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স এ ট্রেড করি:
১. দুনিয়াতে যত রকম ট্রেডিং সিস্টেম আছে সব সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এর উপর নির্ভরশীল। সাপোর্ট ব্রেক করলে ট্রেন্ড ডাউন । রেজিস্টেন্স ব্রেক করলে ট্রেন্ড আপ । সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লজিক অনুযায়ী এ দুটি পজিশনে বাই এবং সেল করতে হয় ।
২. মার্কেটের ফাউন্ডেশন অনুযায়ী গঠন : মারকেট স্ট্রাকচার আপ না ডাউন কিভাবে বুঝব । সাপোর্ট আপ সাইডে শিফটিং হলে মার্কেট আপ । রেজিস্টেন্স ডাউন সাইডে শিফটিং হলে মার্কেট ডাউন
৩. আমাদের এন্ট্রি, স্টপ লস, টার্গেট এখানে সাপোর্ট রেজিস্টেন্স এর উপর নির্ধারণ করতে হবে ।
৪. চার্টে সাপোর্ট বিল্ড আপ করে প্রাইস উপরে চলে গেছে । আবার প্রাইস সাপোর্টে চলে আসছে । সাপোর্ট এর পাশে কিছু রিভার্সেল সিগন্যাল মিললে তখন আমরা প্রত্যাশা করব আগের মত বায়ার বা স্মার্ট মানি প্রাইস উপরে নিয়ে যাবে । সাপোর্ট এর পাশে রিভার্সেল সিগন্যাল মিলে আমরা বাই করব। এটা একটি সিম্পল মেথড ।
ব্রেকআউট ট্রেডিং স্ট্রেটিজি:
প্রাইস যখন হরিজেন্টাল রেজিস্টেন্স লাইন বা মেজর ট্রেন্ডলাইন বা কারেক্টিভ ট্রেন্ডলাইন বা আগের দিনের ক্যান্ডল বা প্রাইস অ্যাকশন প্যাটার্ন (ফ্ল্যাগ, ট্রায়াঙ্গেল) কে অতিক্রম করে উপরের দিকে যায় তখন তাকে ব্রেকআউট বলে। সঠিক ব্রেকআউট নির্ণয় করার জন্য প্রথমে সঠিকভাবে রেজিস্টেন্স বের করতে হয় l রেজিস্টেন্স হতে পারে হরিজেন্টাল লাইন , মেজর ট্রেন্ড লাইন , কারেক্টিভ ট্রেন্ড লাইন ইত্যাদি l রেজিস্টেন্স হচ্ছে যে লেভেল থেকে সবচেয়ে বেশিবার প্রাইস ফিরে এসেছে বা প্রত্যাক্ষিত হয়ে এসেছে l অন্যভাবে বলা যায় জোন / এরিয়া থেকে প্রাইস বেশি বার রিজেকশন হয়েছে সেটি হলো রেজিস্ট্যান্স জোন l প্রাইস যখন সাপোর্ট লেভেল থেকে বাড়তে থাকে তখন তার আচরণ কি রকম হয় সেটা বুঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ l প্রাইস কি ব্রেকআউট হবে নাকি রেজিস্ট্যান্স থেকে ফিরে আসবে এটি বোঝার কিছু লক্ষণ আছে l
সফল ব্রেকআউট হবার পাঁচটি লক্ষণ:
পাঁচটি লক্ষণ এর উপর ব্রেকআউট নির্ভর করে l পাঁচটি লক্ষণ যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করতে হবে পরবর্তীতে কী ঘটতে যাচ্ছে l লক্ষণ গুলি হল : ১. ট্রেন্ড: একটি স্ট্রং আপট্রেন্ড থাকতে হবে ২. প্রাইস মুভমেন্টের স্ট্রেংথ বা ক্যান্ডেল গুলি বড় বড় হওয়া ৩. ভলিউম ক্রমাগত বৃদ্বি পাওয়া ৪. সময়: দ্রুত সময়ে রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পার করা ৫ . কোয়ালিটি অফ জোন: রেজিস্টেন্স লাইন তিন বার হিট হলে ব্রেকআউট হবার সম্বাবনা বেশি l রেজিস্টেন্স লেভেলে প্রাইস ভলিউম বাড়তেছে এটি হলে ব্রেকআউট হবার সম্ভাবনা প্রবল l একটি ইউনিভার্সেল রুল হল যখন প্রাইস কোন একটি রেসিসটেন্স লেভেল কে তিনবার হিট করে তখন সেটি একটি সাকসেসফুল ব্রেকআউট দেয় l
সফল ব্রেকআউট হবার আচরণ:
১. পুশ থ্রু : সাপোর্ট লেভেল থেকে প্রাইস হাইয়ার হাই তৈরী করে আসবে এবং প্রাইস সরাসরি ব্রেকআউট দিয়ে উপরে চলে যেতে পারে একে পুশ থ্রু বলে l
২. রিভার্সেল রিজেকশন রিভার্সেল: রেজিস্ট্যান্স এর পাশে প্রাইস ঘুরাঘুরি করে একটি ব্রিজ তৈরি করবে বা সাময়িক সাইডওয়েজ এ গিয়ে তারপর ব্রেকআউট হবে l
৩. ব্রেকআউট টেস্ট : প্রাইস রেজিস্টেন্স লাইন থেকে হালকা নিচে আসবে এরপর আবার ব্রেকআউট করে উপরে চলে যাবে l
ব্যর্থ ব্রেকআউট হবার আচরণ:
৪. ফেক আউট : প্রাইস ব্রেকআউট দিবে তারপর সেল প্রেসার পেয়ে নিচে চলে আসবে l
৫. বাউন্স: প্রাইস রেজিস্টেন্স লাইন টাচ করে নিচের দিকে নেমে আসবে l
ব্রেকআউট এন্ট্রি কোথায় নিব:
১. এগ্রেসিভ বায়ার হলে ব্রেকআউট হবার আগে ২ . ব্রেকআউট লেভেলে ৩. ব্রেকআউট হবার পরে রিটেস্ট হয়ে প্রাইস সাপোর্ট লেভেল আসলে এন্ট্রি নিতে হবে ৪. ব্রেকআউট টেস্ট না দিলে ব্রেকআউট এর উপর ব্রেকআউট এন্ট্রি নিতে হবে ।
ব্রেকআউট কনফার্মেশন:
ব্রেকআউট কনফার্ম হওয়ার জন্য প্রাইস শার্প ভাবে উপরের দিকে যাওয়া জরুরী।প্রাইস কোনরকম রিজেকশন দিয়ে রেজিস্টেন্স লাইনের নিচে ক্লোজ দিতে পারবে না। রেজিস্ট্যান্স লাইন থেকে যদি নিচে নেমে ক্লোজ হয় তাহলে সেটা ব্রেকআউট সাকসেসফুল হবে না।
সবসময় রেজিস্ট্যান্স ব্রেকআউট হবার সময় ট্রেন্ড একটি ক্লিয়ার আপ ট্রেন্ড হতে হবে
রেজিস্টেন্স লেভেলে প্রাইস যখন প্রথমবার যায় তখন রিভার্স হয় ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে l ব্রেকআউট স্ট্রেন্থ অত শক্তিশালী থাকেনা যখন একটি সাপ্লাই জোন ফিট হয়ে যায় তখন প্রাইস সেই সাপ্লাই জোন থেকে প্রথম বার ফিরে আসে দ্বিতীয় বারও ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু তৃতীয়বার সেটি সাকসেসফুল ব্রেকআউট হয় l
একটি ইউনিভার্সেল রোল হল যখন প্রাইস কোন একটি রেসিসটেন্স লেভেল কে তিনবার হিট করে তখন সেটি একটি সাকসেসফুল ব্রেকআউট দেয় l এটির পিছনে যুক্তি হল প্রথম রেজিস্ট্যান্স লাইনে যার ১০০০ শেয়ার আছে সে ৫০০ বিক্রি করে দিচ্ছে দ্বিতীয়বার রেজিস্ট্যান্স লাইনে তার বাকি ৩০০ বিক্রি করে দেয় তৃতীয়বার তার হাতে বিক্রি করার জন্য শেয়ার থাকেনা ট্রাইঅ্যাঙ্গেল প্যাটার্নের ব্রেকআউট এটাই লজিক
রেজিস্টেন্স লেভেলে সময় অতিবাহিত হওয়া এটার মানে কি
যদি রেসিসটেন্স লেভেল স্ট্রং হয় তাহলে প্রাইস রেজিস্ট্যান্স থেকে ফিরে আসবে আবার যদি স্ট্রং বায়ার হয় তাহলে প্রাইস ব্রেকআউট দিয়ে উপরে চলে যাবে এখানে অল্প সময় ভিতরে চলে যাবে কোন সময় অতিবাহিত করবে না এই ব্রেকআপের সময় ক্যান্ডেল বড় বড় হবে
প্রাইস এন্ড রেজিস্টেন্স লেভেলে গিয়ে যদি আশেপাশে বেশি সময় নিয়ে ঘুরে তাহলে প্রাইস কোন দিকে যায় সেদিকে দেখতে হবে কারণ তখন দুইটা ঘটনা ঘটতে পারে হয় নিচে আসবে আর না হলে ব্রেকআউট দিয়ে উপরে চলে যাবে এ সময় অবজার্ভ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ সময় টাইম ভলিয়ম এবং প্রাইস লোকেশন ৩ জিনিস খুব সূক্ষ্মভাবে দেখতে হবে
যদি লো ভলিয়মে এবং দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রাইস যদি রেজিস্ট্যান্স এর কাছে ঘুরাঘুরি করে তাহলে ব্রেকআউট দেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বা প্রবল এর মানে হল প্রাইস এলেবেলে একুমুলেট হচ্ছে যেকোনো সময় প্রাইস উপরে চলে যাবে
রেজিস্টেন্স লেভেলে কি প্রাইস অ্যাকশন হতে পারে ব্রেকআউট দেবার জন্য
প্রাইস রেজিস্টেন্স হালকা রিট্রেসমেন্ট হয়েছে কিন্তু ওয়েবের ৫০% বেশি হতে পারবে না রিপ্লেসমেন্ট ৫০% পার্সেন্ট এর উপরে থাকতে হবে টাইট রেঞ্জের ভিতরে প্রাইস থাকতে হবে ছোট ছোট ক্যান্ডেল এবং ভলিয়ম খুবই কম হবে এটিকে একটি অবজারভেশন প্যাটার্ন বলে ট্রাইঅ্যাঙ্গেল এবং ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন এটার সবচেয়ে বড় উদাহরণ
সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স এর কাছে ভলিউম কিভাবে এনালাইসিস করব:
রেজিস্টেন্স লেভেলে প্রাইস ভলিউম বাড়তেছে এটি হলে ব্রেকআউট হবার সম্ভাবনা প্রবল
ব্রেকআউট দেবার জন্য ভলিয়ামের একটি সিম্পল ফান্ডামেন্টাল হল আগের রেজিস্টেন্স লেভেলের ভলিয়ম এরচেয়ে বর্তমান ব্রেকআউট লেভেলের ভলিয়ম তার সমান বা বেশি হতে হবে
রেসিসটেন্স লেভেল এ হঠাৎ গ্রীন ভলিউম বেশি হওয়া মানে সেলার একটিভ হয়ে গেছে প্রাইস নিচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি
সাপোর্ট লেভেলে হঠাৎ রেড ভলিউম অনেক বেশি চলে আসে তার মানে হল বায়ার একটিভ হয়ে গেছে প্রাইস উপরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি
প্রাইস বাড়তেছে এবং গ্রেজুয়ালি ভলিয়ম বাড়তেছে এটা হলে বুঝতে হবে যে ইউর ব্রেকআউট হবে
ব্রেকআউট এর পজিশন কোথায় নিতে হবে
ব্রেকআউট এর তিন জায়গায় এন্ট্রি নিতে হয়
১. যদি সব কন্ডিশন মিলে যায় তাহলে ব্রেকআউট হবার আগে এন্ট্রি নিয়ে নিন
২. যদি কন্ডিশন ঠিক মনে না হয় তাহলে ব্রেকআউট হবার পরে রিটেস্ট হয়ে সাপোর্ট লেভেল আসলে এন্ট্রি নিতে হবে
৩. ব্রেকআউট টেস্ট না দিলে ব্রেকআউট এর উপর ব্রেকআউট এন্ট্রি নিতে হবে
প্রাইসের মুভমেন্টের স্ট্রেন্থ: বায়ারের স্ট্রেন্থ যদি সেলারের স্ট্রেন্থ অপেক্ষা দুর্বল হয় তাহলে ব্রেক আউট হওয়ার সম্ভাবনা কম । আপ ট্রেন এ যাওয়ার সময় সেলারের শক্তির থেকে বায়ারের শক্তি বেশি হতে হবে
ফ্ল্যাগ, পিনাট, ট্রায়াঙ্গেল, হ্যামার, পিনবার
ফ্ল্যাট প্যাটার্ন ফর্মেশন হলে প্যাটার্ন ব্রেকআউট এর উপরে পিনবার অথবা এঙ্গুলফিং ক্যান্ডেলস্টিক ক্লোজ হলে সে ক্যান্ডেল বা তার উপরের ক্যান্ডেল এন্টি দিতে হবে
ব্রেকআউট ক্যান্ডেল স্ট্রং হতে হবে ওই ক্যান্ডেল কোন প্রকার রিজেকশন থাকতে পারবে না বা অপার শ্যাডো থাকতে পারবে না
ব্রেকআউট কনফার্ম হওয়ার জন্য প্রাইস উপরের দিকে যাওয়া জরুরী প্রাইস একশন ফলো থ্রু হতে হবে আপ হতে হবে কোনরকম রিজেকশন দিয়ে নিচে নামতে পারবে না রেজিস্ট্যান্স লাইন থেকে যদি নিচে নেমে যায় তাহলে ব্রেকআউট সাকসেসফুল হবে না
ব্রেকআউট টেস্টে তিন ধরনের বাই হয়ে থাকে ব্রেকআউট টেস্ট লেভেল সাপোর্ট লেভেল হিসেবে কাজ করে
১. ব্রেকআউট টেস্ট করার সময় ভোলিয়াম লো হতে হবে
২. ব্রেকআউট টেস্টে প্রাইস কখনো টেস্ট লেভেল এর নিচে ক্লোজ হতে পারবে না নিচে আসলে তা আর সকল ব্রেকআউট হিসেবে বিবেচনা করা হবে না
৩.ব্রেকআউট এর সময় ওই স্টকের সেক্টর কি মুভি আছে কিনা সেটা বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে সেক্টর যদি ডাউন থাকে তাহলে ব্রেকআউট হওয়ার সম্ভাবনা কম
ব্রেকআউট বুঝার উপায় :
সফল ব্রেকআউট টেস্টে ভলিউম ও প্রাইস অ্যাকশন কেমন হবে :
১. যখন ছোট ছোট ক্যান্ডলে টেস্ট করবে তখন ভলিউম কম হতে হবে। প্রাইস ডিক্রিজিং / ডাউন ভলিউম ডিক্রিজিং / ডাউন ( রিট্রেস বা পুলবাক সিগন্যাল) .
২. যখন ব্রেকআউট দিছে তখন বড় বড় ক্যান্ডলে ভলিউম বেশি বেশি হতে হবে। প্রাইস ইনক্রিজিং ভলিউম ইনক্রিজিং
৩. আবার প্রাইস যখন রিভার্স করবে তখন ভলিউম রিট্রেস বা পুলবাক থেকে বেশি বেশি হতে হবে এবং ক্যান্ডল বড় বড় হতে হবে । প্রাইস ইনক্রিজিং ভলিউম ইনক্রিজিং
ফলস ব্রেকআউট টেস্টে ভলিউম ও প্রাইস অ্যাকশন কেমন হবে :
১. যখন ব্রেকআউট দিছে তখন বড় বড় ক্যান্ডলে ভলিউম বেশি বেশি হতে হবে। প্রাইস ইনক্রিজিং ভলিউম ইনক্রিজিং
২. ব্রেকআউট এর পর বড় সেল হবে ক্যান্ডল, পরের ক্যান্ডল টা ব্রেকআউট এর নিচে ক্লোজ দিবে এটা ওয়ার্নিং সিগন্যাল এবং ভলিউম বেশি হবে। প্রাইস ডিক্রিজিং / ডাউন ভলিউম ইনক্রিজ / আপ ( রিট্রেস বা পুলবাক সিগন্যাল) .
৩. আবার প্রাইস যখন রিভার্স করবে তখন ভলিউম রিট্রেস বা পুলবাক থেকে কম হবে এবং ক্যান্ডল ছোট ছোট হবে । প্রাইস ইনক্রিজিং ভলিউম ডিক্রিজ
১. প্রাইস ব্রেকআউট ২. প্রাইস রেজিস্টেন্সের নিচে ক্লোজ হবে ৩. টেস্ট করবে লো ভলিউমে ৪. কনফার্মেশন: প্রাইস যখন টেস্ট ক্যান্ডলের নিচে ক্লোজ হবে।
উপরের এ ৪টি বিষয় ফলস ব্রেকআউট বুঝার জন্য খেয়াল রাখতে হবে।
টেস্টিং কি :
একটি ট্রেন্ড আপে চলছে এরপর এটি রিট্রেস হবে। আমরা কিভাবে বুজব এ ট্রেন্ড কন্টিনিউ করবে নাকি রিভার্সেল হবে? ট্রেন্ড কন্টিনিউ করবে নাকি রিভার্সেল হবে এটি টেস্টিং এর উপর নির্ভর করে। যদি টেস্টিং সফল হয় তখন ট্রেন্ড কন্টিনিউ করবে। আর টেস্টিং সফল না হলে ট্রেন্ড রিভার্স বা সাইডওয়েজে যাবে। একটি সাকসেসফুল টেস্ট আমাদেরকে ইঙ্গিত দেয় যে স্টক সামনে যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে । টেস্ট কোথায় হবে? সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স লেভেলে বা জোনে। ডেতে ও সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হয়। ডে লো সাপোর্ট আর ডে হাই রেজিস্টেন্স। প্রাইস উপর যাবার জন্য ডে হাই কে ক্রস করা লাগে। রিভার্সেল করার জন্য ডে লো থেকে রিভার্সেল হয়।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স চার্টে কেন
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এর পিছনে লজিক কি
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লাইন ভার্সেস জোন
সাপোর্ট লাইন ও সাপোর্ট জন দুইটার মধ্যে পার্থক্য কি
আমাদের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এর কাছে কেন ট্রেড নিতে হয় বা নিব
আমরা কিভাবে ট্রেড নিব
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এর পিছনে লজিক কি
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স ফর্মেশন হচ্ছে তার লজিক কি ?
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্রেশন ফর্মেশন কেন হয়?
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স ট্রেড করার তিনটি মেথড আছে
১. সাপোর্ট হতে রিভার্সেল ট্রেডিং
রিভার্সেল ট্রেডিং এর লজিক কি । এমনি এমনি সাপোর্ট থেকে রিভার্সেল হয়না । প্রাইস উপরে চলে গেছে নিচে একটি সাপোর্ট জোন তৈরি করেছে। মার্কেটে সবসময় তিন ধরনের ট্রেডার আছে প্রথম যারা ইতিমধ্যে বাই করে রেখেছে দ্বিতীয় যারা বিক্রি করেছে তৃতীয় যারা বাই অথবা সেল করার জন্য অপেক্ষা করছে । এ তিন ধরনেরট্রেডার নিয়ে পুরা মার্কেট চায়না চলে
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এ আমরা যা শিখব :
১. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স কি
২. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স ট্রেডিং কি
৩. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স চার্টে কেন বের করতে হয়
৪. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এর পিছনে লজিক কি
৫. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লাইন ভার্সেস জোন কি
৬. সাপোর্ট লাইন ও সাপোর্ট জন দুইটার মধ্যে পার্থক্য কি
৭. আমাদের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এর কাছে কেন ট্রেড নিতে হয় বা নিব
৮. আমরা সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এ কিভাবে ট্রেড নিব
৯. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স ট্রেড নিবার কয়েকটি পদ্ধতি
১০. কোথায় সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স হতে পারে কিভাবে বের করব
১১. কিভাবে বুঝব সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স ব্রেকআউট সফল হবে নাকি ব্রেকআউট ফেইল হবে
১২. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স কত ভাবে হতে পারে
১৩. সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এর প্রশ্ন উত্তরের ভিত্তিতে তথ্যের আদান প্রদান ।
১. চ্যানেল ড্র করা ১. আপ ২. ডাউন ৩. রেঞ্জ ।
২. মেজর ট্রেন্ডলাইন বা প্রাইমারি ট্রেন্ডলাইন টানা ।
৩. সেকেন্ডারি বা ইন্টারমিডিয়েট ট্রেন্ডলাইন টানা ।
৪. কারেক্টিভ ট্রেন্ডলাইন টানা ।
৫. ট্রেন্ড চিহ্নিত করা ১. আপট্রেন্ড ২.ডাউনট্রেন্ড ৩. সাইডওয়েজ।
৬. সাপোর্ট /রেসিস্টেন্স বের করা।
৭. কেন্ডেলস্টিক বা প্যাটার্ন শনাক্ত করা ১. কন্টিনিউশন ২. রিভার্সাল
৮. ক্যান্ডেলের মোমেন্টাম / স্ট্রেংথ শনাক্ত করা ১. স্ট্রং ২. উইক।
No comments:
Post a Comment