মার্কেটের স্ট্রাকচার - ১ টি ক্লাস।
মার্কেট স্ট্রাকচার:
আপট্রেন্ড ডিমান্ড জোনে হলে বাই ডাউনট্রেন্ড হলে সেল। রেঞ্জ মার্কেটে বাই লো সেল হাই। আপট্রেন্ড হাইয়ার হাই -হাইয়ার লো। ডাউনট্রেন্ড লোয়ার হাই -লোয়ার লো। আপট্রেন্ডে হাইয়ার লো পয়েন্টে বাই। ডাউনট্রেন্ডে লোয়ার লো পয়েন্টে সেল।
আমাদের কে দেখতে হবে ট্রেন্ড কি? প্রাইস লোকেশন কোথায়? সাপোর্ট এর কাছে কি প্রাইস অ্যাকশন হয়েছে। রেজিসটেন্স এর কাছে কি প্রাইস অ্যাকশন হয়েছে।
প্রিন্সিপাল অফ মার্কেট স্ট্রাকচার:
"WHYCOFF"এর থিউরি অনুযায়ী একটি শেয়ারের একুমুলেশন ধরার কৌশল :
এলিয়ট ওয়েভ থিওরি রালফ নেলসন এলিয়ট একজন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টান্ট ছিলেন। তিনি ৭৫ বছরের মত স্টক মার্কেটের ডাটা জোগাড় করে তা বিশ্লেষণ করে দেখেন যে মার্কেট মুভমেন্ট বিশৃঙ্খল দেখা গেলেও আসলে সেরকম না। ৬৬ বছর বয়সে তিনি, পর্যাপ্ত প্রমান (আর সাহস) যোগাড় করে তার খোজ সবার সাথে শেয়ার করলেন। তিনি “দ্যা ওয়েভ প্রিন্সিপাল” নামে তার বই প্রকাশিত করলেন। তার মতে মার্কেট ক্রমাগত চক্রে মুভ করে, যেটাকে তিনি ইনভেস্টরদের ইমোশন হিসেবে চিনহিত করেছেন যা বাহ্যিক প্রভাব অথবা একসাথে অনেকের সংঘবদ্ধ সাইকোলজি দ্বারা সংঘটিত হয়। এলিয়ট সাহেব বলেছেন যে প্রাইসে উপরের অথবা নিচের দিকের সুইং যা সংঘবদ্ধ সাইকোলজির জন্য হয়, সেগুলো সবসময় প্যাটার্ন হিসেবে দেখা যায়। তিনি এইসব আপওয়ারড অথবা ডাউনয়ারড সুইংগুলকে “ওয়েভ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, যদি এই প্যাটার্নগুলোকে সঠিকভাবে চিনহিত করা যায়, তাহলে আপনি বলে দিতে পারবেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যাবে অথবা যাবে না। এটা আপনাদের একটা যথাযথ একটা পয়েন্ট মার্কেট রিভার্সাল চিনহিত করার উপায় দেয়। এক কথায়, এলিয়ট ওয়েভ মার্কেটে টপ ও বটম ধরার সুযোগ করে দেয়। ফ্রাক্টাল ফ্রাক্টাল সাধারনত সেইসব জিনিস যা কয়েক ভাগ করা যায়, যেটা সম্পূর্ণ কোন কিছুর মতই কিন্তু একটা অংশমাত্র। যেমন কেক, তার একটা অংশ হল ফ্রাক্টাল। এলিয়ট ওয়েভের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিসয় হল যে এগুলো ফ্রাক্টাল। এলিয়ট ওয়েভকে আবার ছোট ওয়েভে ভাগ করা যায়। এলিয়ট ওয়েভ থিওরির এলিয়ট ওয়েভ হল ফ্রাক্টাল। প্রতিটা ওয়েভ কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়, যার আবার প্রতিটাকে একই রুপে চিনহিত করা যায়। ট্রেন্ডিং মার্কেটে প্রাইস ৫-৩ ওয়েভ প্যাটার্নে মুভ করে। প্রথম ৫ ওয়েভ প্যাটার্নকে ইম্পালসিভ ওয়েভ বলা হয়। তিনটি ইম্পালসিভ ওয়েভের (১,৩,৫) মধ্যে একটি ওয়েভ বর্ধিত থাকবে। ওয়েভ ৩ সাধারনত বর্ধিত হয়ে থাকে। পরের ৩ ওয়েভ প্যাটার্নকে কারেকটিভ ওয়েভ বলে। সংখ্যার বদলে লেটার ব্যাবহার করা হয়। ১, ৩, ৫ ওয়েভে ছোট ছোট ৫ ওয়েভ ইম্পালস প্যাটার্ন দেখা যেতে পারে এবং ২ আর ৪ ওয়েভে ছোট ছোট ৩ ওয়েভ কারেকটিভ প্যাটার্ন দেখা যেতে পারে। ২১ ধরনের কারেকটিভ প্যাটার্ন আছে কিন্তু সেগুলো ৩ ধরনের সহজবোধ্য ফরমেশন দিয়ে তৈরি। ৩ টি ফান্ডামেন্টাল কারেকটিভ প্যাটার্ন হল – জিগজ্যাগ, ফ্ল্যাট, আর ট্রায়াঙ্গেল। ফিবোনাচ্চি ওয়েভ প্রজেকশনে সহায়ক ট্যুল।
এলিয়ট ওয়েবের মোটিভ ওয়েবের তিনটি প্রধান শর্ত :
এলিয়ট ওয়েবের মোটিভ ওয়েবের তিনটি প্রধান শর্ত যে গুলি কখনোই ভঙ্গ করা যাবে না ।
এগুলি ভঙ্গ হলে এটি আর এলিয়ট ওয়েব হবে না। তখন অন্য ভাবে এনালাইসিস করতে হবে। শর্ত ১ - ইম্পালসিভ ওয়েভের মধ্যে ওয়েভ ৩ সবচেয়ে ছোট হতে পারবে না। শর্ত ২ – ওয়েভ ২ ওয়েভ ১ এর শুরুকে অতিক্রম করতে পারবে না। শর্ত ৩ – ওয়েভ ৪ ওয়েভ ১ এর প্রাইস এরিয়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।
১. ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর ১০০% বা সমান বা বড় হতে পারবে না ওয়েব ১ এর চেয়ে ছোট হতে হবে। ২. ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর চেয়ে বড় হতে হবে। ৩. ওয়েব ৪ এর লো পয়েন্ট ওয়েব ১ এর হাই পয়েন্টের উপর থাকতে হবে। যদি এটি ওয়েব ১ এর হাই য়ের নিচে চলে আসে তা হলে আমরা এটিকে আর ইলিয়ট ওয়েব বলতে পারবনা। এটি তখন ট্রেন্ড চেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়। এখানে ইলিয়ট ওয়েব ইনভ্যালিড। ৪. A -B -C কারেক্টিভ ওয়েব ওয়েব ৪ এর লো পয়েন্ট এর নিচে আসতে পারবে না। যদি এটি ওয়েব ৪ এর হাই য়ের নিচে চলে আসে তা হলে আমরা এটিকে আর ইলিয়ট ওয়েব বলতে পারবনা। এটি তখন ট্রেন্ড চেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়। এখানে ইলিয়ট ওয়েব ইনভ্যালিড।
এলিয়ট ওয়েবকে মোটিভ ওয়েবস এবং কারেক্টিভ ওয়েবস এ দুই ভাগ করা যেতে পারে:
প্রতিটি ইম্পালসিভ ওয়েবের পর একটি কারেক্টিভ ওয়েব আসে আবার প্রতি কারেক্টিভ ওয়েবের পর একটি ইম্পালসিভ ওয়েব আসে।
১. মোটিভ ওয়েব: মোটিভ ওয়েব মেইন ট্রেন্ডের দিক নির্দেশ করে চলে সে দিকে চলে এবং এটি ৫টি ওয়েব নিয়ে গঠিত যা ওয়েব ১, ওয়েব ২, ওয়েব ৩, ওয়েব ৪ এবং ওয়েব ৫ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ওয়েব ১, ৩, ৫ মেইন ট্রেন্ডের দিকে চলে আর ওয়েব ২ এবং ৪ মেইন ট্রেন্ডের বিপরীত দিকে চলে। মোটিভ ওয়েভ সাধারণত দুই ধরনের হয়- ইমপালস এবং ডায়াগোনাল ওয়েভ। ২. কারেক্টিভ ওয়েব : যে ওয়েবগুলি মেইন ট্রেন্ডকে প্রতিহত করে সেগুলি কারেক্টিভ ওয়েব হিসাবে পরিচিত। কারেক্টিভ ওয়েব মোটিভ ওয়েবের চেয়ে জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। কারেকশন প্যাটার্ন তিনটি ওয়েব দ্বারা গঠিত এবং A, B এবং C হিসাবে লেবেল করা হয়। তিনটি প্রধান ধরনের কারেক্টিভ ওয়েব হল জিগ-জ্যাগ, ডায়াগনাল এবং ট্রায়াঙ্গল ওয়েব।
এলিয়ট ওয়েবের কিছু রুলস :
১. একটি ইমপালস ওয়েব সবসময় ৫ টি সাব ওয়েবে বিভক্ত হয়।
২. ওয়েব ১ সবসময় ইমপালস ওয়েবের উপ-ভাগ বা (কদাচিৎ) লিডিং ডায়াগনাল হয়।
৩. ওয়েব ৩ সবসময় একটি ইমপালসের উপ-ভাগ হয়।
৪. ওয়েব ৫ সবসময় একটি ইমপালস ওয়েবের উপ-ভাগ বা এন্ডিং ডায়গনাল হয়।
৫. ওয়েব ২ সবসময় উপবিভক্ত হয় একটি জিগজ্যাগ, ফ্লাট বা উভয়ের সংমিশ্রণে হয়।
৬. ওয়েব ২ সবসময় একটি উপবিভক্ত হয় জিগজ্যাগ, ফ্লাট , ট্রায়াঙ্গল বা সংমিশ্রণে হয়।
৭. ওয়েব ৩ সবসময় ওয়েব ৩ এর শুরুর বাইরে চলে যায়।
৮. ওয়েব ৩ কখনই ওয়েব ১ এর শুরুর বাইরে চলে যায় না।
৯. ওয়েব ৩ কখনই সবচেয়ে ছোট ওয়েব হয় না।
১০. ওয়েব ৪ কখনই ওয়েব ১ এর শুরুর বাইরে চলে যায় না।
১১. ওয়েব ১, ৩, ৩ একই সময়ে প্রসারিত হয় না
এলিয়ট ওয়েবের প্যাটার্ন সমূহ ;
এলিয়ট ওয়েব সাইকেলের বেসিক রুলস:
নিয়ম ১: ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর স্টার্ট পয়েন্টের উপরে শেষ হতে হবে। ওয়েব ২ কখনো ওয়েব ১ এর শুরুর পয়েন্টের নিচে নামবে না। নিয়ম ২: ওয়েব ১, ৩ এবং ৫ তিনটিই ইমপালস ওয়েব কিন্তু ওয়েব ৩ এগুলির মধ্যে ছোট হতে পারবে না। ওয়েব ৩, ওয়েব ১ অথবা ওয়েব ৫ দুইটির যে কোন একটা থেকে বড় হতে হবে। শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর চেয়ে বড় হয়। ওয়েব ৩ সবচেয়ে বড় হতে হবে এমন কোন রুলস নাই। ওয়েব ৫ ওয়েব ৩ এর চেয়ে বড় হতে পারে। নিয়ম ৩: ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করতে পারবে না। ওয়েব ৪ ওয়েব ১ এর এন্ড বা টপ পয়েন্টের উপরে শেষ হতে হবে। ওয়েব ৪ কখনো ওয়েব ১ এর এন্ড পয়েন্টের নিচে নামবে না বা এন্ড পয়েন্টেকে টাচ করবে না। নিয়ম ৪: ওয়েব ৫ ওয়েব ৩ এর টপ পয়েন্টের উপরে শেষ হতে হবে। ওয়েব ৫ কখনো ওয়েব ৩ এর শুরুর টপ পয়েন্টের নিচে শেষ হতে পারবে না। ওয়েব ৫ কখনো ওয়েব ৩ এর টপ পয়েন্টের উপরেই যেতে হবে ।
এলিয়ট ওয়েবের পার্সোনালিটি : পার্সোনালিটি মানে হল ওয়েবের বিহেবিহার , ওয়েবের নেচার, ওয়েবের স্পিড , ওয়েবের পার্সোনালিটি দ্বারা ট্রেডারদের সাইকোলজি জানা যায়। ১. ওয়েব ১ এর পার্সোনালিটি : এলিয়ট ওয়েবের ফর্মেশনের প্রাথমিক অবস্থা , স্লো হতে পারে, ওয়েব ১ এর তেমন কোন পার্সোনালিটি নাই। ওয়েব ১ এবং ২ ফর্মেশনের পরে এলিয়ট ওয়েবের এনালাইসিস শুরু হয়। ২. ওয়েব ২ এর পার্সোনালিটি : ওয়েব ২ , ৪ এবং B এর পার্সোনালিটি একই হয়। কনফিউজিং হয় আর কিছু এবনরমাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব ২ , ৪ এবং B এ তিনটি কারেকটিভ প্যাটার্ন। কারেকটিভ প্যাটার্ন কনফিউজিং হয়। কারেকটিভ ওয়েবের ৫ প্যাটার্ন হয় ১. সিম্পল জিগ-জাগ ২. ইরেগুলার ৩ ফ্লাট ৪. ডাবল জিগ-জাগ ৫. ত্রিপল জিগ-জাগ। ওয়েব ২ হবার সময় এ পাচঁটির যে কোনটি হতে পারে। আমাদের জানা থাকে না কোন প্যাটার্ন হবে। ওয়েব ২ কারেকশন ০.৬১৮% - ০.৮০% হয়। ৩. ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটি : ওয়েব ৩ এলিয়ট ওয়েবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব। সবচেয়ে ফাস্ট ওয়েব, সবচেয়ে শার্প ওয়েব ,সবচেয়ে স্ট্রং ,সবচেয়ে বড়। ওয়েব ৩ গ্যাপ ফর্ম করে। গ্যাপ ওপেনিং হয়। ওয়েব ৩ তৈরী হওয়া গ্যাপ ফিল হয় না। গ্যাপ ফিল হলেও পুরা সাইকেল শেষ হবার পর ফিলআপ হবে। ওয়েব ৩ ইন্ডিকেটর গুলি ওভারবোট অবস্থানে থাকে। লম্বা সময় ধরে ওভারবোট অবস্থানে থাকে। ৪. ওয়েব ৪ এর পার্সোনালিটি : ওয়েব ২ , ৪ এবং B এর পার্সোনালিটি একই হয়। কনফিউজিং হয় আর কিছু এবনরমাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব ২ , ৪ এবং B এ তিনটি কারেকটিভ প্যাটার্ন। কারেকটিভ প্যাটার্ন কনফিউজিং হয়। কারেকটিভ ওয়েবের ৫ প্যাটার্ন হয় ১. সিম্পল জিগ-জাগ ২. ইরেগুলার ৩ ফ্লাট ৪. ডাবল জিগ-জাগ ৫. ত্রিপল জিগ-জাগ। ওয়েব ২ হবার সময় এ পাচঁটির যে কোনটি হতে পারে। আমাদের জানা থাকে না কোন প্যাটার্ন হবে। ওয়েব ৪ ওয়েব ২ এর বিপরীত স্বভাবের হয়। ওয়েব ২ যদি স্লো কারেকশন হয় তবে ওয়েব ৪ এর কারেকশন ফাস্ট হবে। ওয়েব ২ যদি কমপ্লেক্স হয় তবে ওয়েব ৪ এর সিম্পল হবে। অনেক সময় ওয়েব ৪ এর প্যাটার্ন আইডেন্টিফাই করা যায় না। ওয়েব ৪ কারেকশন ২৩-৩৮% হয়। ৫. ওয়েব ৫ এর পার্সোনালিটি : ওয়েব ৫ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েব ৫ আইডেন্টিফাই করা খুবই জরুরি কারণ বেশিরভাগ লোক এ ওয়েবে লস করে। তাদের ইনভেস্টমেন্ট বছরের পর বছর আটকে থাকে। ওয়েব ৫ চিনতে পারলে বড় বড় ভূল গুলি সংশোধন করা যায়। ওয়েব ৫ এর পার্সোনালিটি ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটির উপর নির্ভরশীল। ওয়েব ৩ ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং , এবং বড় হলে ওয়েব ৫ স্লো এবং ছোট হবে। ওয়েব ৫ এ রিপিটেড আপ-ডাউন সুইং বা ডাইগনাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব ৩ স্লো হলে ওয়েব ৫ ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং , এবং বড় হবে। ওয়েব ৫ ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং , এবং বড় হলে রিস্ক তত বেড়ে যায়। ওয়েব ৫ পরে বিয়ারিশ তত ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং এবং বড় হয়। ওয়েব ৫ এ ম্যাক্সিমাম ইনভেস্ট না করা উচিত। ৬. ওয়েব A এর পার্সোনালিটি : ওয়েব A এর পার্সোনালিটি ওয়েব ১ এর মত। ওয়েব A এর ফরমেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওয়েব A এর ফরমেশনের পর ওয়েব B ও C পার্সোনালিটি বুজা যাবে। ওয়েব ৫ ফাস্ট হলে ওয়েব A ও ফাস্ট হবে। ৭. ওয়েব B এর পার্সোনালিটি : ওয়েব ২ , ৪ এবং B এর পার্সোনালিটি একই হয়। ওয়েব B এর পার্সোনালিটি বেশি কনফিউজিং হয় আর কিছু এবনরমাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব B ওয়েব A এর উপর যেতে পারে। একে ইরেগুলার কারেকশান বলে। এটা ট্রাপ। ৮. ওয়েব C এর পার্সোনালিটি : ওয়েব C এর পার্সোনালিটি আর ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটি প্রায় একই। ফাস্ট , শার্প , স্ট্রং এবং বড় হয়। ওয়েব ৫ এর টপ থেকে ৮০% কারেকশন হয়। ওয়েব C এর এর পরে আবার একটি ফাস্ট , শার্প , স্ট্রং এবং বড় মুভ আসে।
ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট এন্ড প্রোজেকশান : প্রতিটি ওয়েবের রিট্রেসমেন্ট এন্ড প্রোজেকশান কোম্পারিজন তার আগের ওয়েবের লেংথ থেকে হয়ে থাকে। এলিয়ট ওয়েবের ৮ টি ওয়েব কত টুকু হতে পারে। মানে হল কত টুকু বড় বা ছোট হতে পারে তার হিসাব করা। এক ওয়েবের সবচেয়ে কম কত হতে পারে আবার সর্বোচচ কত হতে পারে। প্রতিটি ওয়েবের লেংথ এবং লিমিট বের করার জন্য ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট এন্ড প্রোজেকশান ব্যবহার করা হয়। রিট্রেসমেন্ট কারেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রোজেকশান ইমপালসের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ইম্পালসিভ ওয়েবের পর একটি কারেক্টিভ ওয়েব আসে আবার প্রতি কারেক্টিভ ওয়েবের পর একটি ইম্পালসিভ ওয়েব আসে। রিট্রেসমেন্ট: একটি ইম্পালসিভ ওয়েবের পর একটি কারেক্টিভ ওয়েব আসে সেটির ডেপথকে মাপার জন্য যেটি ভাষাটি বেবহার করা হয় তাকে রিট্রেসমেন্ট বলে। ওয়েব ২ , ওয়েব ৪, ওয়েব B এর জন্য রিট্রেসমেন্ট ক্যালকুলেশন করা হয় তার আগের ইম্পালসিভ ওয়েব হতে । ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর ৬১% পর্যন্ত রিট্রেস করে। রিট্রেসমেন্টের জন্য ফিবোর লেভেল ব্যবহার করা হয় ২৩.৬%, ৩৮.২% , ৬১.৮%, ৭৮.৬%, ১০০%। প্রোজেকশান: একটি ইম্পালসিভ ওয়েবের লেংথকে ক্যালকুলেশন করার জন্য প্রোজেকশান টুলস ব্যবহার করা হয়। প্রোজেকশানের জন্য ফিবোর লেভেল ব্যবহার করা হয় ৩৮.২% , ৬১.৮%, ১০০%, ১২৩.৮%, ১৬১.৮% । ওয়েব ৩ , ৫, C এর জন্য প্রোজেকশান ক্যালকুলেশন করা হয় তার আগের কারেক্টিভ ওয়েব হতে । ওয়েব ১ এবং ওয়েব A এর জন্য কোন ফিবোনাচ্চি ক্যালকুলেশন হয় না কারন এ ২ দুইটি নতুন ওয়েব তৈরী করে। তাই এ গুলি শেষ হবার জন্য অপেক্ষা করা লাগে। নরমাল রিট্রেসমেন্ট / প্রোজেকশান লিমিট : বেশি ফলো হয়। ৭০-৮০% সময় মার্কেটে এ রিট্রেসমেন্ট হয়। রিয়ার রিট্রেসমেন্ট / প্রোজেকশান লিমিট :কম ফলো হয়। ১০-২০% সময় মার্কেটে এ রিট্রেসমেন্ট হয়। ম্যাক্সিমাম রিট্রেসমেন্ট লিমিট : রিট্রেসমেন্ট সর্বোচ্চ কোন পর্যন্ত রিট্রেসমেন্ট হতে পারে। যে পয়েন্টের বেশি রিট্রেস করতে পারবে না তাকে ম্যাক্সিমাম রিট্রেসমেন্ট লিমিট বলে। । মিনিমাম প্রোজেকশান লিমিট : ইম্পালসিভ ওয়েব কমপক্ষে কোন পর্যন্ত যেতে হতে পারে। যে পয়েন্টের কম প্রোজেকশান হতে পারবে না তাকে মিনিমাম প্রোজেকশান লিমিট বলে। এমন এক প্রোজেকশান টার্গেট যার নিচে হতে পারে পারে না বেশিরভাগ সময় টার্গেট তার উপরেই হয় ।
ওয়েব ২ এর ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট লিমিট : ফিবোর ৩৮.২-৬১.৮ % পর্যন্ত হল ওয়েব ২ এর নরমাল রিট্রেসমেন্ট লিমিট। ৫০% এর বেশি কেসে ওয়েব ২ ৬১.৮ % বা তার চেয়ে বেশি রিট্রেস করে মেজর ওয়েব সাইকেলে। যদি ওয়েব ১ একটি বড় ওয়েব ৩ এর ইন্টারনাল ওয়েব ১ হয় তাহলে সেটি ৬১.৮ % বা তার চেয়ে কম রিট্রেস করতে পারে। সাধারণত ৩৮.২% পর্যন্ত রিট্রেস করে থাকে। রেয়ার কেসে ১০-২০% সময় ওয়েব ২ ৩৮.২% এর কম এবং ৬১.৮ % বেশি রিট্রেস করে থাকে। ওয়েব ২ ম্যাক্সিমাম ওয়েব ১ এর ১০০% যেতে পারবে। তার বেশি কোন ভাবেই যেতে পারবে না। ৬১.৮ % কে গোল্ডেন রেশিও বলা হয়। ৬১.৮ % এ বাই করে যদি ১০০% রিট্রেসমেন্ট এ স্টপ লস ধরে ট্রেড করে তাহলে উইনিং সম্ববনা বেশি থাকে তাই একে গোল্ডেন রেশিও বলা হয়। কারন এর পরে ওয়েব ৩ শুরু হয় যেটি অনেক দূর যায়। ফিবোর ৫০-৭০% রিট্রেসমেন্ট লেভেলের মধ্যে বেশি ভাগ ওয়েব ২ রিভার্স হয়। যদি কোনটা ওয়েব ৩ এর ইন্টারনাল ওয়েব ২ হয় সেটি ফিবোর ৬১.৮ % এর কম রিট্রেসমেন্ট হতে পারে। ওয়েব ৩ এর ইন্টারনাল ওয়েব ২ বেশিরভাগ সময় ৩৮.২ % হতে রিট্রেসমেন্ট হয়, ৩৮.২ % হতে কম রিট্রেসমেন্ট হতে পারে সেটি রেয়ার কেস। ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটি ফাস্ট , শার্প, স্ট্রং ও বড় তাই এ ওয়েবে রিট্রেসমেন্ট ছোট হয় এবং প্রোজেকশান বড় হয়। সে জন্য বেশির ভাগ সময় ওয়েব ৩ রিট্রেসমেন্ট মিনিমাম লিমিটে হয়।
ওয়েব ৩ এর ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশান লিমিট : একে ওয়েব ৩ এর এক্সটেনশান লেভেল ও বলা যায়। একে ওয়েব ৩ এর লেংথ কমপক্ষে কত হবে এবং সর্বোচ্চ কত হবে তা নির্ণয় করা জন্য ফিবো এক্সটেনশান ব্যবহার করা হয়। ওয়েব ৩ এর এক্সটেনশান ওয়েব ১ এর কোম্পারিজনে হয়ে থাকে। যদি বলা হয় ওয়েব ৩ ১০০% টার্গেট মিট করেছে তার মানে হল ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর সমান লম্বা হয়েছে। ওয়েব ১ এর মিনিমাম এক্সটেনশান ১০০% তার মানে ওয়েব ১যতটুকু লম্বা ওয়েব ৩ মিনিমাম ততটুকু লম্বা হতে হবে বা তার চেয়ে বড় হতে হবে। কিছু রেয়ার ক্ষেত্রে ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর চেয়ে ছোট হতে পারে। ওটা শুধু লিডিং ডায়াগনাল এ হয়। ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর ফিবোর ১.১৬১% এক্সটেনশান হতে পারে। যদি ওয়েব ৩ ফিবোর ১.১৬১% এক্সটেনশান পর্যন্ত এচিভ করে তখন তাকে এক্সটেন্ডেড ওয়েব ৩ বলা হয়। ওয়েব ৩ ফিবোর ১.১৬১% এর চেয়ে ছোট হলে সেটি নরমাল এক্সটেনশান। ওয়েব ৩ ফিবোর ১.১৬১% এক্সটেনশান এর পর আর কোন ম্যাক্সিমাম লিমিট নাই আনলিমিটেড এক্সটেনশান বা টার্গেট হতে পারে ।
ওয়েব ৪ এর ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট লিমিট :
ওয়েব ৪ এর রিট্রেসমেন্ট ওয়েব ৩ এর কোম্পারিজনে হয়ে থাকে। ওয়েব ৪ কোথায় শেষ হবে সেটি জানার জন্য ওয়েব ৩ এর রিট্রেসমেন্ট ক্যালকুলেশন করা লাগে। ওয়েব ৪ এর নরমাল রিট্রেসমেন্ট (৭০%-৮০% সময় ) ওয়েব ৩ এর ২ ৩. ৬% থেকে ৩৮.২% পর্যন্ত। খুব কমই ৩৮.২% এর বেশি রিট্রেসমেন্ট করে। কারণ ওয়েব ৪ ওয়েব ১ এর টপ পয়েন্টের উপর থেকে রিভার্স হয়ে থাকে। কোন ভাবে এটি ওয়েব ১ এর টপ পয়েন্টের নিচে নামতে পারবে না।
ওয়েব ৫ এর ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশান লিমিট :
ওয়েব ৫ এর এক্সটেনশান ওয়েব ১ শুরু থেকে ওয়েব ৩ এর শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ টুকুর এর কোম্পারিজনে হয়ে থাকে। ওয়েব ৫ এর এক্সটেনশান লিমিট ওয়েব ১-৩ এর ৩৮.২% পর্যন্ত। যদি ওয়েব ৫ ফিবোর ৬১.৮% এক্সটেনশান পর্যন্ত এচিভ করে তখন তাকে এক্সটেন্ডেড ওয়েব ৫ বলা হয়। ওয়েব ৫ এর ম্যাক্সিমাম লিমিট এক্সটেনশান ১০০%. ১২৩.৬% হয়ে থাকে। তবে এটি ১% বা তার কম সময় হয়ে থাকে।
এলিয়ট ওয়েবের প্যাটার্ন সমূহের বর্ণনা :
ইম্পালস প্যাটার্ন একটি ৫ ওয়েব মুভ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাটার্ন কারন ৯০% সময় মার্কেটে এ প্যাটার্ন হয়ে থাকে। ইম্পালস প্যাটার্নের রুলস , গাইডলাইন , ক্যালকুলেশন এবং স্ট্রাকচার কিভাবে হয় তা জানা জরুরি। ইম্পালস প্যাটার্ন একটি ৫ ওয়েব প্যাটার্ন। ইমপালস হল সবচেয়ে সাধারণ মোটিভ ওয়েব এবং একটি মার্কেটে শনাক্ত করা সবচেয়ে সহজ। সমস্ত মোটিভ ওয়েবের মত , ইমপালস ওয়েবের পাঁচটি সাব - ওয়েব রয়েছে: তিনটি মোটিভ ওয়েবস এবং দুটি কারেক্টিভ ওয়েবস যার স্ট্রাকচার ৫-৩-৫-৩-৫ হিসাবে লেবেলযুক্ত। এ ওয়েব ফর্মেশান গুলি কিছু রুলসের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে একটি সেট আকারে হয়ে থাকে। যদি এই নিয়মগুলির মধ্যে কোন একটি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে ইমপালস ওয়েব গঠিত হবে না এবং ইমপালস ওয়েবটিকে পুনরায় লেবেল করতে হবে।
ইমপালস ওয়েব গঠনের তিনটি নিয়ম হল: নিয়ম -১: ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর ১০০% এর বেশি রিট্রেস করতে পারে না। নিয়ম -২: ওয়েব ৩ কখনই ১, ৩ এবং ৫ ওয়েবের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হতে পারে না। নিয়ম -৩: ওয়েব ৪ কখনই ওয়েব ১ ওভারল্যাপ করতে পারে না। একটি ইমপালস ওয়েবের মূল লক্ষ্য হল মার্কেটকে মুভ করানো এটি সম্পন্ন করার জন্য ইমপালস ওয়েভই সেরা। স্ট্রাকচার: এটির ইন্টারনাল ওয়েব স্ট্রাকচার হচ্ছে ৫-৩-৫-৩-৫। ৫-৩-৫-৩-৫ এর মানে হল ওয়েব ১ ইন্টারনাল প্যাটার্ন ৫ ওয়েবের হয় যেটিতে ওয়েব ১ ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের , ওয়েব ২ ইন্টারনাল প্যাটার্ন কারেক্টিভ হয় ৩ ওয়েবের, ওয়েব ৩ ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের, ওয়েব ৪ ইন্টারনাল প্যাটার্ন কারেক্টিভ হয় ৩ ওয়েবের এবং ওয়েব ৩ ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের।
২. ডায়গনাল : অন্য ধরনের মোটিভ ওয়েববের মত হল ডায়গনাল ওয়েব যা সমস্ত মোটিভ ওয়েবের মতো। ডায়গনাল ওয়েব পাঁচটি সাব-ওয়েব নিয়ে গঠিত এবং ট্রেন্ডের দিকে চলে। ডায়গনাল ওয়েব একটি ওয়েজের মতো দেখায় যা প্রসারিত বা সংকুচিত হতে পারে। এছাড়াও, ওয়েজটির পাঁচটি সাব-ওয়েব নাও থাকতে পারে, এটি নির্ভর করে কোন ধরণের ওয়েজ গঠিত হচ্ছে তার উপর। অন্যান্য মোটিভ ওয়েববের মতো, ডায়গনাল ওয়েব প্রতিটি সাব-ওয়েব পূর্বের সাব-ওয়েবকে সম্পূর্ণরূপে ফিরে পায় না। এছাড়াও, ডায়গনাল ওয়েবের সাব-ওয়েব ৩ ছোট ওয়েব হবে না । শেষের ডায়গনাল ওয়েবটি সাধারণত একটি ইমপালস ওয়েবের ৫ বা কারেক্টিভ ওয়েবের শেষ ওয়েবে ঘটে যেখানে লিডিং ডায়গনাল একটি ইমপালস ওয়েবের ওয়েব ১ বা একটি জিগজ্যাগ কারেকশন ওয়েব A অবস্থানে পাওয়া যায়।
ডায়গনাল প্যাটার্ন ২ প্রকার ১. লিডিং ডায়গনাল ২. ইন্ডিং ডায়গনাল
লিডিং ডায়গনাল: ১. এটি একটি ইম্পালসিভ ওয়েব। ২. এটি ৫ ওয়েব স্ট্রাকচার। যেটির ইন্টারনাল প্যাটার্ন ১,২,৩,৪,৫। ৩. এটিতে ডায়গনাল তৈরী হয় এ জন্য এটিকে ডায়গনাল বলা হয়। ৪. এ প্যাটার্নে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করে। ইমপালস প্যাটার্নে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ আসতে পারেনা। কিন্তু ডায়গনাল প্যাটার্নে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করে এ জন্য একে ডায়গনাল বলা হয়। ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ এক ডায়গনাল তৈরী করে এ জন্য একে ডায়গনাল প্যাটার্ন বলে। ৫. এটি শুধুমাত্র ওয়েব ১ এ দেখা যায় বা তৈরী হয়। ৬. লিডিং ডায়গনাল এর পর ওয়েব ২,৩,৪ ৫ আসে তাই এটি চিনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ৭. এটি একটি ইম্পালসকে শুরু করে এ জন্য একে লিডিং বলা হয়। ৮. এটিতে উপরে নিচে লাইন টানতে হয়। এ লাইন টানার পর দেখতে ট্রায়াঙ্গল বা ওয়েজের মত হয়। উপরের লাইন ইন্টারনাল ওয়েব ১ও ৩ এর টপ/ হাই/ইন্ড পয়েন্টকে টাচ করে টানা হয়। এরপর লাইনটিকে সামনে বর্ধিত করা হয়। নিচের লাইন ইন্টারনাল ওয়েব ২ও ৪ এর টপ/ হাই/ইন্ড পয়েন্টকে টাচ করে টানা হয়। এরপর লাইনটিকে সামনে বর্ধিত করা হয়। এ প্যাটার্নকে কনফার্ম করার জন্য প্রাইস এ দুই লাইনের বাহিরে যেতে পারবে না। ওয়েব ১ও ৩ অবশ্যই এ লাইনকে টাচ করবে কিন্তু ওয়েব ৫ এ লাইনকে টাচ করতে পারে আবার নাও করতে পারে। ৯. লিডিং ডায়গনাল এর ইন্টারনাল স্ট্রাকচার ৫-৩-৫-৩-৫। ১০. লিডিং ডায়গনাল এর ইন্টারনাল ওয়েব ৫ ওয়েব ৩ এর উপরে বা ক্রস করে কমপ্লিট হবে। ইন্টারনাল ওয়েব ৫ সর্বোচ্ছ উপরের লাইনকে টাচ করতে পারবে কিন্তু উপরের লাইনকে ক্রস করতে পারবে না। এটি ওয়েব ১ও ৩ এর বর্ধিত লাইনের নিচে শেষ হয়ে যাবে। ইন্টারনাল ওয়েব ৫ বর্ধিত লাইনকে টাচ করতে পারে তবে টাচ করা জরুরি নয়। ইন্টারনাল ওয়েব ৫ বর্ধিত লাইনকে ক্রস করে তবে এ প্যাটার্নটি ভুল। তখন এটি লিডিং ডায়গনাল নয়। ১১. এ প্যাটার্নের ব্রেকআউট সব সময় ওয়েব ২ও ৪ এর লাইনকে ক্রস করে নিচের দিকে হয়। এর পর ওয়েব ২ হয়। স্ট্রাকচার অনুযায়ী ইমপালস এবং লিডিং ডায়গনালে পার্থক্য: স্ট্রাকচার অনুযায়ী ইমপালস এবং লিডিং ডায়গনালে পার্থক্য একটি সেটি হল লিডিং ডায়গনালে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করে। লিডিং ডায়গনাল চিনার উপায় : ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ এক ডায়গনাল তৈরী করা। লিডিং ডায়গনাল ফিবোনাচ্চি রুলস : ১. এ প্যাটার্নের ওয়েব ৩ এক্সটেন্ডেড হতে পারবে না। মানে হলে ইন্টারনাল ওয়েব ৩ ফিবোর ১.৬১৮ এর বেশি প্রজেকশান বা এক্সটেনশান হবে না। ২. এ প্যাটার্নের ওয়েব ৫ সব সময় এক্সটেন্ডেড হয়। মানে হলে ইন্টারনাল ওয়েব ৫ ফিবোর ১.৬১৮ এর বেশি প্রজেকশান বা এক্সটেনশান হবে।
জিগ-জ্যাগ হল একটি কারেক্টিভ ওয়েব যা A, B এবং C হিসাবে লেবেলযুক্ত ৩ টি ওয়েব দ্বারা গঠিত যা শক্তিশালী ভাবে উপরে বা নীচে চলে। A এবং C ওয়েব ইমপালস ওয়েব যেখানে B ওয়েব একটি কারেক্টিভ ওয়েব(প্রায়ই ৩ টি সাব - ওয়েব সহ )। জিগজ্যাগ প্যাটার্ন হল বুলিশ রেলির পরে তীব্র পতন বা বিয়ার ট্রেন্ডের আগমন অগ্রগতি যা আগের ইমপালস প্যাটার্নের প্রাইসকে যথেষ্ট পরিমাণে সংশোধন করে। জিগজ্যাগ গুলিও কয়েকটি মিলে তৈরি হতে পারে যা ডাবল বা ট্রিপল জিগজ্যাগ নামে পরিচিত, যেখানে দুটি বা তিনটি জিগজ্যাগ তাদের মধ্যে আরেকটি কারেক্টিভ ওয়েব দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
মার্কেটে ৬০% সিম্পল জিগজাগ কারেকশন তৈরী হতে দেখা যায়। সিম্পল জিগজাগ কারেকশননের পর একটি বড় ইমপালস মুভ হয় তাই সিম্পল জিগজাগ কারেকশন চিনতে পারা খুবই জরুরি। সিম্পল জিগজাগ একটি কারেক্টিভ প্যাটার্ন যে টি ওয়েব ২,৪ এবং ওয়েব B তে দেখা যায়।
৩-৩-৫ ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন : এটি ইরেগুলার কারেক্টিভ প্যাটার্নের (৫-৩-৫ বা ৩-৩-৫) মতই একটি কারেক্টিভ প্যাটার্ন। ইরেগুলার কারেক্টিভ প্যাটার্নের থেকে আমরা জেনেছি যখন একটি A B C ওয়েবে, ওয়েব B ওয়েব A থেকে বড় হয়ে যায় বা ওয়েব B ওয়েব A এর স্টার্ট পয়েন্টকে ক্রস করে যায় তখন ইররেগুলার প্যাটার্ন হয়। কিছু কিছু সময় এমন হয় ওয়েব B ওয়েব A কে ১০০% রিট্রেস করে অর্থাৎ ওয়েব A এর স্টার্ট পয়েন্ট এবং ওয়েব B এর ইন্ড পয়েন্ট সমান হয় তখন ঐ কারেকশান কে ৩-৩-৫ ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন বলে। স্ট্রাকচার : ৩-৩-৫ ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন একটি ৩ ওয়েব প্যাটার্ন। যেটিকে A ,B, C দিয়ে বুঝানো হয়। A ,B, C এর ইন্টারনাল স্ট্রাকচার ৩-৩-৫। ৩-৩-৫ এর মানে হল ওয়েব A ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৩ ওয়েবের, ওয়েব B ইন্টারনাল প্যাটার্ন কারেক্টিভ ওয়েব হয় ৩ ওয়েবের, ওয়েব C ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের। ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন ৫-৩-৫ কক্ষই হবে না। ফ্লাট কারেকশানের পর যে রিভার্সাল হয় সেটি খুব ফাস্ট এবং শার্প হয়। এটি খুব রেয়ার প্যাটার্ন। ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন ডাবল টপ /ডাবল বটম ও বলা যায় ।
ডাবল জিগজাগ করেকশান কি ভাবে কনফিউজড করে: ডাউনট্রেন্ডে যখন ABC করেকশান মুভ হয় তখন আমরা ভাবি এর পর একটি ইমপালস মুভ আসবে, যেটি লাস্ট লো কে ক্রস করে নিচে চলে যাবে। অর্থাৎ A এর স্টার্ট পয়েন্টের নিচে প্রাইস চলে যাবে। প্রাইস নিচে গিয়ে A এর স্টার্ট পয়েন্টের আগে রিভার্সাল হয়।
ত্রিপল জিগজাগ করেকশান লাইন আঁকা: ওয়েজ প্যাটার্ন তখন হবে যখন লাইন আঁকা হবে। লাইন আঁকার রুলস এ প্যাটার্নে ২ লাইন ড্র হয় প্রথম লাইন X১ এবং X২ কে জয়েন করার মাধ্যমে হয়। অন্য লাইন C-১ এবং C-২ কে জয়েন করার মাধ্যমে হয়। কোন ইন্টারনাল ওয়েব এ লাইনকে ক্রস করতে পারবে না , যদি করে তা হলে এ প্যাটার্ন ইনভ্যালিড। ইন্টারনাল ওয়েব এ লাইনকে ক্রস তখন এটি ত্রিপল জিগজাগ না হয়ে অন্য কোন প্যাটার্ন হবে। C-৩ শেষ হবে C-২এর নিচে শেষ হবে কিন্তু লাইনের উপরে শেষ হবে। প্রাইস যেকোন প্যাটার্ন ব্রেকআউট করে তখন X১ এবং X২ কে ক্রস করে উপরে চলে যায়। প্রাইস ব্রেকআউট হয় ত্রিপল জিগজাগ করেকশান প্যাটার্ন শেষ করার পর। ত্রিপল জিগজাগ করেকশান প্যাটার্ন যতক্ষণ শেষ না হবে প্রাইস ততক্ষন এ চ্যানেল ব্রেকআউট হবে না। ত্রিপল জিগজাগ করেকশান প্যাটার্ন কমপ্লিট হবার পর প্রাইস ব্রেকআউট হয়। সবসময় X১ এবং X২ লাইন দিয়ে ব্রেকআউট হয়।
বিভিন্ন ধরনের কারেক্টিভ ওয়েভ প্যাটার্ন
এলিয়ট সাহেবের মতে, ২১ ধরনের ABC কারেকটিভ প্যাটার্ন আছে। সেগুলো হলঃ
- জিগজ্যাগ
- ফ্ল্যাট
- ট্রায়াঙ্গেল
জিগজ্যাগ
জিগজ্যাগ ফরমেশন খুব খাড়া মুভ যেটা ট্রেন্ডের বিপরিতে তৈরি হয়। ওয়েভ B সাধারনত A ও C এর তুলনায় সবচেয়ে ছোট মাপের হয়ে থাকে।
এই ফরমেশন একটা কারেকশনে ২ থেকে ৩ বার দেখা যেতে পারে। প্রতিটা জিগজ্যাগ প্যাটার্নকে আবার ৫ টা ওয়েভ প্যাটার্নে ভাগ করা যায়।
ফ্ল্যাট
ফ্ল্যাট ফরমেশন চওড়া ওয়েভে মুভ। ওয়েভের মাপ সাধারনত দৈর্ঘে সমান মাপের হয়। এতে B ওয়েভ সাধারনত A এর মুভ বাতিল করে এবং C ওয়েভ B এর মুভ বাতিল করে।
এখানে সাধারনত ব্যাবহার করা হয়েছে কারন মাঝেমধ্যে B ওয়েভ A ওয়েভের শুরুকে অতিক্রম করে।
ট্রায়াঙ্গেল
ট্রায়াঙ্গেল ফরমেশন হল সেই কারেকশন প্যাটার্ন যেগুলো কনভারজিং অথবা ডাইভারজিং ট্রেন্ডলাইন দিয়ে সংঘটিত হয়। ট্রায়াঙ্গেল ৫ ওয়েভ দ্বারা গঠিত হয়। এগুলো ট্রেন্ডের বিপরীতে সাইডওয়েতে মুভ করে। এই ট্রায়াঙ্গেলগুল সিমেট্রিক্যাল, উদ্ধগামি অথবা নিম্নগামি হতে পারে। নিচের ছবিগুলো দেখুন
আগে বলেছিলাম যে এলিয়ট ওয়েভ হল ফ্রাক্টাল। প্রতিটা ওয়েভ সাব-ওয়েভ দ্বারা গঠিত। নিচের ছবিটি দেখুনঃ
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ওয়েভ ১, ৩, আর ৫ ছোট ৫ ওয়েভ ইম্পালস প্যাটার্ন তৈরি করেছে আর ওয়েভ ২ আর ৪ ছোট ৩-ওয়েভ কারেকশন প্যাটার্ন তৈরি করেছে? সবসময় মনে রাখবেন যে প্রতিটা ওয়েভ ছোট ছোট ওয়েভ প্যাটার্ন দ্বারা গঠিত হয় আর এগুলো মার্কেটে বার বার ঘটে।
সহজে ওয়েভ চেনার জন্য এলিয়ট ওয়েভ থিওরিতে ওয়েভকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করতে বিশেষ কিছু লেবেল ব্যাবহার করা হয়। এগুলো ছোট থেকে বড়তে সাজানো হয়। প্রত্যেক ধরনের ওয়েভের নাম, লেবেল, ও টাইম পেরিওড নিচে দেয়া হলঃ
উপরের চার্ট অনুযায়ী গ্রান্ড সুপার সাইকেল গঠিত হয় সুপার সাইকেল দ্বারা, সুপার সাইকেল গঠিত হয় সাইকেল দ্বারা ইত্যাদি। নিম্নে ওয়েভের অঙ্কিত একটা চার্ট দেয়া হলঃ
চার্ট দেখে বুঝতে পারছেন যে রিয়েল চার্টে ওয়েভ পারফেক্ট হয় না। এছাড়াও মাঝেমধ্যে ওয়েভ লেবেল করা কষ্টকর হয়ে থাকে। কিন্তু চর্চা করলে এসব কম কষ্টদায়ক হবে।
ওয়েভগুলতে লেবেল লাগাতে ৩ টা মৌলিক নীতি আছে যা ভাঙা যাবে না। সেগুলো হলঃ
নীতি ১ - ইম্পালসিভ ওয়েভের মধ্যে ওয়েভ ৩ সবচেয়ে ছোট হতে পারবে না।
নীতি ২ – ওয়েভ ২ ওয়েভ ১ এর শুরুকে অতিক্রম করতে পারবে না।
নীতি ৩ – ওয়েভ ৪ ওয়েভ ১ এর প্রাইস এরিয়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।
এখানে ৩ টা মুখ্য গাইডলাইন উল্লেখ করা হল। উপরক্ত নীতি যেমন সবসময় মানতে হবে, এগুলো সবসময় না মানলে চলবে।সেগুলো হলঃ
গাইডলাইন ১ – যখন ওয়েভ ৩ সবচেয়ে বড় ইম্পালস ওয়েভ, ওয়েভ ৫ আনুমানিকভাবে ওয়েভ ১ এর সমান হবে।
গাইডলাইন ২ – ওয়েভ ২ এবং ৪ পর্যায়ক্রমিক হবে। যদি ওয়েভ ২ একটা খাড়া কারেকশন হয়, ওয়েভ ৪ ফ্ল্যাট কারেকশন হবে। ওয়েভ ২ ফ্ল্যাট হলে, ওয়েভ ৪ খাড়া কারেকশন হবে।
গাইডলাইন ৩ – ৫ম ইম্পালস ওয়েভের পরে, ABC কারেকশন সাধারনত ওয়েভ ৪ এর লো এর মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে।
আমরা যারা টেকনিক্যাল এনালাইসিস জানিনা বা কম বুঝি তারা একটি শেয়ার কিভাবে সিলেক্ট করব।
No comments:
Post a Comment