এলিয়ট ওয়েভ থিওরি
রালফ নেলসন এলিয়ট একজন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টান্ট ছিলেন। তিনি ৭৫ বছরের মত স্টক মার্কেটের ডাটা জোগাড় করে তা বিশ্লেষণ করে দেখেন যে মার্কেট মুভমেন্ট বিশৃঙ্খল দেখা গেলেও আসলে সেরকম না।
৬৬ বছর বয়সে তিনি, পর্যাপ্ত প্রমান (আর সাহস) যোগাড় করে তার খোজ সবার সাথে শেয়ার করলেন। তিনি “দ্যা ওয়েভ প্রিন্সিপাল” নামে তার বই প্রকাশিত করলেন। তার মতে মার্কেট ক্রমাগত চক্রে মুভ করে, যেটাকে তিনি ইনভেস্টরদের ইমোশন হিসেবে চিনহিত করেছেন যা বাহ্যিক প্রভাব অথবা একসাথে অনেকের সংঘবদ্ধ সাইকোলজি দ্বারা সংঘটিত হয়। এলিয়ট সাহেব বলেছেন যে প্রাইসে উপরের অথবা নিচের দিকের সুইং যা সংঘবদ্ধ সাইকোলজির জন্য হয়, সেগুলো সবসময় প্যাটার্ন হিসেবে দেখা যায়। তিনি এইসব আপওয়ারড অথবা ডাউনয়ারড সুইংগুলকে “ওয়েভ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, যদি এই প্যাটার্নগুলোকে সঠিকভাবে চিনহিত করা যায়, তাহলে আপনি বলে দিতে পারবেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যাবে অথবা যাবে না।
এটা আপনাদের একটা যথাযথ একটা পয়েন্ট মার্কেট রিভার্সাল চিনহিত করার উপায় দেয়। এক কথায়, এলিয়ট ওয়েভ মার্কেটে টপ ও বটম ধরার সুযোগ করে দেয়।
ফ্রাক্টাল
ফ্রাক্টাল সাধারনত সেইসব জিনিস যা কয়েক ভাগ করা যায়, যেটা সম্পূর্ণ কোন কিছুর মতই কিন্তু একটা অংশমাত্র। যেমন কেক, তার একটা অংশ হল ফ্রাক্টাল। এলিয়ট ওয়েভের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিসয় হল যে এগুলো ফ্রাক্টাল। এলিয়ট ওয়েভকে আবার ছোট ওয়েভে ভাগ করা যায়।
এলিয়ট ওয়েভ থিওরির
এলিয়ট ওয়েভ হল ফ্রাক্টাল। প্রতিটা ওয়েভ কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়, যার আবার প্রতিটাকে একই রুপে চিনহিত করা যায়। ট্রেন্ডিং মার্কেটে প্রাইস ৫-৩ ওয়েভ প্যাটার্নে মুভ করে। প্রথম ৫ ওয়েভ প্যাটার্নকে ইম্পালসিভ ওয়েভ বলা হয়। তিনটি ইম্পালসিভ ওয়েভের (১,৩,৫) মধ্যে একটি ওয়েভ বর্ধিত থাকবে। ওয়েভ ৩ সাধারনত বর্ধিত হয়ে থাকে।
পরের ৩ ওয়েভ প্যাটার্নকে কারেকটিভ ওয়েভ বলে। সংখ্যার বদলে লেটার ব্যাবহার করা হয়। ১, ৩, ৫ ওয়েভে ছোট ছোট ৫ ওয়েভ ইম্পালস প্যাটার্ন দেখা যেতে পারে এবং ২ আর ৪ ওয়েভে ছোট ছোট ৩ ওয়েভ কারেকটিভ প্যাটার্ন দেখা যেতে পারে। ২১ ধরনের কারেকটিভ প্যাটার্ন আছে কিন্তু সেগুলো ৩ ধরনের সহজবোধ্য ফরমেশন দিয়ে তৈরি।
৩ টি ফান্ডামেন্টাল কারেকটিভ প্যাটার্ন হল – জিগজ্যাগ, ফ্ল্যাট, আর ট্রায়াঙ্গেল। ফিবোনাচ্চি ওয়েভ প্রজেকশনে সহায়ক ট্যুল।
এলিয়ট ওয়েবের মোটিভ ওয়েবের তিনটি প্রধান শর্ত :
এলিয়ট ওয়েবের মোটিভ ওয়েবের তিনটি প্রধান শর্ত যে গুলি কখনোই ভঙ্গ করা যাবে না ।
এগুলি ভঙ্গ হলে এটি আর এলিয়ট ওয়েব হবে না। তখন অন্য ভাবে এনালাইসিস করতে হবে।
শর্ত ১ - ইম্পালসিভ ওয়েভের মধ্যে ওয়েভ ৩ সবচেয়ে ছোট হতে পারবে না।
শর্ত ২ – ওয়েভ ২ ওয়েভ ১ এর শুরুকে অতিক্রম করতে পারবে না।
শর্ত ৩ – ওয়েভ ৪ ওয়েভ ১ এর প্রাইস এরিয়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।
এলিয়ট ওয়েবের কারেকটিভ ওয়েবের তিনটি প্রধান শর্ত:
এলিয়ট ওয়েবের কারেকটিভ ওয়েবের তিনটি প্রধান শর্ত যে গুলি কখনোই ভঙ্গ করা যাবে না। এগুলি ভঙ্গ হলে এটি আর এলিয়ট ওয়েব হবে না। তখন অন্য ভাবে এনালাইসিস করতে হবে।
শর্ত ১ - কারেকটিভ ওয়েভের মধ্যে ওয়েভ A কারেকশান ওয়েব ৪ এর উপরে থাকবে।
শর্ত ২ – কারেকটিভ ওয়েভের ওয়েভ B ওয়েভ ৫ এর টপ পয়েন্টকে অতিক্রম করতে পারবে না।
শর্ত ৩ – কারেকটিভ ওয়েভের ওয়েভ C ওয়েভ ১ এর টপ পয়েন্টকে অতিক্রম নিচে নামতে পারবে না।
তিনটি নীতি যা ভঙ্গ করা যাবে নাঃ
নীতি ১ - ইম্পালসিভ ওয়েভের মধ্যে ওয়েভ ৩ সবচেয়ে ছোট হতে পারবে না।
নীতি ২ – ওয়েভ ২ ওয়েভ ১ এর শুরুকে অতিক্রম করতে পারবে না।
নীতি ৩ – ওয়েভ ৪ ওয়েভ ১ এর প্রাইস এরিয়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।
১. ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর ১০০% বা সমান বা বড় হতে পারবে না ওয়েব ১ এর চেয়ে ছোট হতে হবে।
২. ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর চেয়ে বড় হতে হবে।
৩. ওয়েব ৪ এর লো পয়েন্ট ওয়েব ১ এর হাই পয়েন্টের উপর থাকতে হবে। যদি এটি ওয়েব ১ এর হাই য়ের নিচে চলে আসে তা হলে আমরা এটিকে আর ইলিয়ট ওয়েব বলতে পারবনা। এটি তখন ট্রেন্ড চেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়। এখানে ইলিয়ট ওয়েব ইনভ্যালিড।
৪. A -B -C কারেক্টিভ ওয়েব ওয়েব ৪ এর লো পয়েন্ট এর নিচে আসতে পারবে না। যদি এটি ওয়েব ৪ এর হাই য়ের নিচে চলে আসে তা হলে আমরা এটিকে আর ইলিয়ট ওয়েব বলতে পারবনা। এটি তখন ট্রেন্ড চেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়। এখানে ইলিয়ট ওয়েব ইনভ্যালিড।
C কখনো ওয়েব ৪ এর ইন্ড পয়েন্টের নিচে নামবে না ।
এলিয়ট ওয়েবকে মোটিভ ওয়েবস এবং কারেক্টিভ ওয়েবস এ দুই ভাগ করা যেতে পারে:
প্রতিটি ইম্পালসিভ ওয়েবের পর একটি কারেক্টিভ ওয়েব আসে আবার প্রতি কারেক্টিভ ওয়েবের পর একটি ইম্পালসিভ ওয়েব আসে।
১. মোটিভ ওয়েব:
মোটিভ ওয়েব মেইন ট্রেন্ডের দিক নির্দেশ করে চলে সে দিকে চলে এবং এটি ৫টি ওয়েব নিয়ে গঠিত যা ওয়েব ১, ওয়েব ২, ওয়েব ৩, ওয়েব ৪ এবং ওয়েব ৫ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ওয়েব ১, ৩, ৫ মেইন ট্রেন্ডের দিকে চলে আর ওয়েব ২ এবং ৪ মেইন ট্রেন্ডের বিপরীত দিকে চলে। মোটিভ ওয়েভ সাধারণত দুই ধরনের হয়- ইমপালস এবং ডায়াগোনাল ওয়েভ।
২. কারেক্টিভ ওয়েব :
যে ওয়েবগুলি মেইন ট্রেন্ডকে প্রতিহত করে সেগুলি কারেক্টিভ ওয়েব হিসাবে পরিচিত। কারেক্টিভ ওয়েব মোটিভ ওয়েবের চেয়ে জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। কারেকশন প্যাটার্ন তিনটি ওয়েব দ্বারা গঠিত এবং A, B এবং C হিসাবে লেবেল করা হয়। তিনটি প্রধান ধরনের কারেক্টিভ ওয়েব হল জিগ-জ্যাগ, ডায়াগনাল এবং ট্রায়াঙ্গল ওয়েব।
এলিয়ট ওয়েবের কিছু রুলস :
১. একটি ইমপালস ওয়েব সবসময় ৫ টি সাব ওয়েবে বিভক্ত হয়।
২. ওয়েব ১ সবসময় ইমপালস ওয়েবের উপ-ভাগ বা (কদাচিৎ) লিডিং ডায়াগনাল হয়।
৩. ওয়েব ৩ সবসময় একটি ইমপালসের উপ-ভাগ হয়।
৪. ওয়েব ৫ সবসময় একটি ইমপালস ওয়েবের উপ-ভাগ বা এন্ডিং ডায়গনাল হয়।
৫. ওয়েব ২ সবসময় উপবিভক্ত হয় একটি জিগজ্যাগ, ফ্লাট বা উভয়ের সংমিশ্রণে হয়।
৬. ওয়েব ২ সবসময় একটি উপবিভক্ত হয় জিগজ্যাগ, ফ্লাট , ট্রায়াঙ্গল বা সংমিশ্রণে হয়।
৭. ওয়েব ৩ সবসময় ওয়েব ৩ এর শুরুর বাইরে চলে যায়।
৮. ওয়েব ৩ কখনই ওয়েব ১ এর শুরুর বাইরে চলে যায় না।
৯. ওয়েব ৩ কখনই সবচেয়ে ছোট ওয়েব হয় না।
১০. ওয়েব ৪ কখনই ওয়েব ১ এর শুরুর বাইরে চলে যায় না।
১১. ওয়েব ১, ৩, ৩ একই সময়ে প্রসারিত হয় না
এলিয়ট ওয়েবের প্যাটার্ন সমূহ ;
এলিয়ট ওয়েবে বেসিক ২ প্যাটার্ন :
১. ইমপালস ওয়েব (মোট ৫ টি ওয়েব ৩ টি ইমপালস ওয়েব ২ টি কারেক্টিভ ওয়েব) ।
২. কারেক্টিভ ওয়েব (মোট ৩ টি ওয়েব ২ টি কারেক্টিভ ওয়েব ১ টি ইমপালস ওয়েব) ।
ইম্পালসসিব ওয়েব প্যাটার্ন ৩ প্রকার :
১ . ইমপালস
২ . ইন্ডিং ডায়াগনাল
৩ . লিডিং ডায়াগনাল
কারেক্টিভ ওয়েব প্যাটার্ন ৫ প্রকার :
৪. সিম্পল জিগ -জাগ কারেকশন
৫. ইরেগুলার কারেকশন
৬. ৩-৩-৫ ফ্লাট কারেকশন
৭ . ডাবল জিগ -জাগ কারেকশন
৮. ত্রিপল জিগ -জাগ কারেকশন
চার্টে এলিয়ট ওয়েবের যে ৫ টি প্যাটার্ন সবচেয়ে বেশি দেখা যায় :
১. ইমপালস
২. ডায়গনাল
৩.জিগ-জ্যাগ -৫-৩-৫
৪. ফ্লাট -৩-৩-৫
৫. ট্রায়াঙ্গল-৩-৩-৩-৩-৩
ইন্ডিং ডায়াগনাল ট্রায়াঙ্গল, লিডিং ডায়াগনাল ট্রায়াঙ্গল এবং ত্রিপল জিগ -জাগ কারেকশন প্যাটার্ন কন্সট্রাকশান স্ট্রাকচার একই।
এলিয়ট ওয়েবের ৮ টি ওয়েবে কি কি প্যাটার্ন হতে পারে:
ওয়েব ১: ওয়েব ১ এ ২টা প্যাটার্ন ক . ইমপালস খ . লিডিং ডায়াগনাল
ওয়েব ২: ওয়েব ২ এ ৫ টা কারেক্টিভ প্যাটার্ন এর যে কোনটা হতে পারে।
ওয়েব ৩: ওয়েব ৩ এ ১ টা প্যাটার্ন তা হল ইমপালস
ওয়েব ৪: ওয়েব ৪ এ ৫ টা কারেক্টিভ প্যাটার্ন এর যে কোনটা হতে পারে।
ওয়েব ৫: ওয়েব ৫ এ ২টা প্যাটার্ন ক . ইমপালস খ . ইন্ডিং ডায়াগনাল
ওয়েব A : ওয়েব A এ ২টা প্যাটার্ন ক . ইমপালস খ . সিম্পল জিগ -জাগ
ওয়েব B : ওয়েব B এ ৫ টা কারেক্টিভ প্যাটার্ন এর যে কোনটা হতে পারে।
ওয়েব C : ওয়েব C এ ১ টা প্যাটার্ন তা হল ইমপালস।
* ওয়েব ৩ এর রিট্রেসমেন্ট ফিবোর ২৩-৩৮% এর মধ্যে হয়ে থাকে।
নোট : এলিয়ট ওয়েব শিখার জন্য ৪ টি জিনিস ওয়েব সাইকেল, ওয়েব পার্সোনালিটি , ফিবোনাচ্চি ক্যালকুলেশন এবং ওয়েব প্যাটার্ন শিখা গুরুত্বপূর্ণ।
এলিয়ট ওয়েব সাইকেলের বেসিক রুলস:
নিয়ম ১: ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর স্টার্ট পয়েন্টের উপরে শেষ হতে হবে। ওয়েব ২ কখনো ওয়েব ১ এর শুরুর পয়েন্টের নিচে নামবে না।
নিয়ম ২: ওয়েব ১, ৩ এবং ৫ তিনটিই ইমপালস ওয়েব কিন্তু ওয়েব ৩ এগুলির মধ্যে ছোট হতে পারবে না। ওয়েব ৩, ওয়েব ১ অথবা ওয়েব ৫ দুইটির যে কোন একটা থেকে বড় হতে হবে। শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর চেয়ে বড় হয়। ওয়েব ৩ সবচেয়ে বড় হতে হবে এমন কোন রুলস নাই। ওয়েব ৫ ওয়েব ৩ এর চেয়ে বড় হতে পারে।
নিয়ম ৩: ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করতে পারবে না। ওয়েব ৪ ওয়েব ১ এর এন্ড বা টপ পয়েন্টের উপরে শেষ হতে হবে। ওয়েব ৪ কখনো ওয়েব ১ এর এন্ড পয়েন্টের নিচে নামবে না বা এন্ড পয়েন্টেকে টাচ করবে না।
নিয়ম ৪: ওয়েব ৫ ওয়েব ৩ এর টপ পয়েন্টের উপরে শেষ হতে হবে। ওয়েব ৫ কখনো ওয়েব ৩ এর শুরুর টপ পয়েন্টের নিচে শেষ হতে পারবে না। ওয়েব ৫ কখনো ওয়েব ৩ এর টপ পয়েন্টের উপরেই যেতে হবে ।
এলিয়ট ওয়েবের পার্সোনালিটি :
পার্সোনালিটি মানে হল ওয়েবের বিহেবিহার , ওয়েবের নেচার, ওয়েবের স্পিড , ওয়েবের পার্সোনালিটি দ্বারা ট্রেডারদের সাইকোলজি জানা যায়।
১. ওয়েব ১ এর পার্সোনালিটি :
এলিয়ট ওয়েবের ফর্মেশনের প্রাথমিক অবস্থা , স্লো হতে পারে, ওয়েব ১ এর তেমন কোন পার্সোনালিটি নাই। ওয়েব ১ এবং ২ ফর্মেশনের পরে এলিয়ট ওয়েবের এনালাইসিস শুরু হয়।
২. ওয়েব ২ এর পার্সোনালিটি :
ওয়েব ২ , ৪ এবং B এর পার্সোনালিটি একই হয়। কনফিউজিং হয় আর কিছু এবনরমাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব ২ , ৪ এবং B এ তিনটি কারেকটিভ প্যাটার্ন। কারেকটিভ প্যাটার্ন কনফিউজিং হয়। কারেকটিভ ওয়েবের ৫ প্যাটার্ন হয় ১. সিম্পল জিগ-জাগ ২. ইরেগুলার ৩ ফ্লাট ৪. ডাবল জিগ-জাগ ৫. ত্রিপল জিগ-জাগ। ওয়েব ২ হবার সময় এ পাচঁটির যে কোনটি হতে পারে। আমাদের জানা থাকে না কোন প্যাটার্ন হবে। ওয়েব ২ কারেকশন ০.৬১৮% - ০.৮০% হয়।
৩. ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটি :
ওয়েব ৩ এলিয়ট ওয়েবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব। সবচেয়ে ফাস্ট ওয়েব, সবচেয়ে শার্প ওয়েব ,সবচেয়ে স্ট্রং ,সবচেয়ে বড়। ওয়েব ৩ গ্যাপ ফর্ম করে। গ্যাপ ওপেনিং হয়। ওয়েব ৩ তৈরী হওয়া গ্যাপ ফিল হয় না। গ্যাপ ফিল হলেও পুরা সাইকেল শেষ হবার পর ফিলআপ হবে। ওয়েব ৩ ইন্ডিকেটর গুলি ওভারবোট অবস্থানে থাকে। লম্বা সময় ধরে ওভারবোট অবস্থানে থাকে।
৪. ওয়েব ৪ এর পার্সোনালিটি :
ওয়েব ২ , ৪ এবং B এর পার্সোনালিটি একই হয়। কনফিউজিং হয় আর কিছু এবনরমাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব ২ , ৪ এবং B এ তিনটি কারেকটিভ প্যাটার্ন। কারেকটিভ প্যাটার্ন কনফিউজিং হয়। কারেকটিভ ওয়েবের ৫ প্যাটার্ন হয় ১. সিম্পল জিগ-জাগ ২. ইরেগুলার ৩ ফ্লাট ৪. ডাবল জিগ-জাগ ৫. ত্রিপল জিগ-জাগ। ওয়েব ২ হবার সময় এ পাচঁটির যে কোনটি হতে পারে। আমাদের জানা থাকে না কোন প্যাটার্ন হবে। ওয়েব ৪ ওয়েব ২ এর বিপরীত স্বভাবের হয়। ওয়েব ২ যদি স্লো কারেকশন হয় তবে ওয়েব ৪ এর কারেকশন ফাস্ট হবে। ওয়েব ২ যদি কমপ্লেক্স হয় তবে ওয়েব ৪ এর সিম্পল হবে। অনেক সময় ওয়েব ৪ এর প্যাটার্ন আইডেন্টিফাই করা যায় না। ওয়েব ৪ কারেকশন ২৩-৩৮% হয়।
৫. ওয়েব ৫ এর পার্সোনালিটি :
ওয়েব ৫ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েব ৫ আইডেন্টিফাই করা খুবই জরুরি কারণ বেশিরভাগ লোক এ ওয়েবে লস করে। তাদের ইনভেস্টমেন্ট বছরের পর বছর আটকে থাকে। ওয়েব ৫ চিনতে পারলে বড় বড় ভূল গুলি সংশোধন করা যায়। ওয়েব ৫ এর পার্সোনালিটি ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটির উপর নির্ভরশীল। ওয়েব ৩ ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং , এবং বড় হলে ওয়েব ৫ স্লো এবং ছোট হবে। ওয়েব ৫ এ রিপিটেড আপ-ডাউন সুইং বা ডাইগনাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব ৩ স্লো হলে ওয়েব ৫ ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং , এবং বড় হবে। ওয়েব ৫ ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং , এবং বড় হলে রিস্ক তত বেড়ে যায়। ওয়েব ৫ পরে বিয়ারিশ তত ফাস্ট ,শার্প ,স্ট্রং এবং বড় হয়। ওয়েব ৫ এ ম্যাক্সিমাম ইনভেস্ট না করা উচিত।
৬. ওয়েব A এর পার্সোনালিটি :
ওয়েব A এর পার্সোনালিটি ওয়েব ১ এর মত। ওয়েব A এর ফরমেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওয়েব A এর ফরমেশনের পর ওয়েব B ও C পার্সোনালিটি বুজা যাবে। ওয়েব ৫ ফাস্ট হলে ওয়েব A ও ফাস্ট হবে।
৭. ওয়েব B এর পার্সোনালিটি :
ওয়েব ২ , ৪ এবং B এর পার্সোনালিটি একই হয়। ওয়েব B এর পার্সোনালিটি বেশি কনফিউজিং হয় আর কিছু এবনরমাল প্যাটার্ন হয়। ওয়েব B ওয়েব A এর উপর যেতে পারে। একে ইরেগুলার কারেকশান বলে। এটা ট্রাপ।
৮. ওয়েব C এর পার্সোনালিটি :
ওয়েব C এর পার্সোনালিটি আর ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটি প্রায় একই। ফাস্ট , শার্প , স্ট্রং এবং বড় হয়। ওয়েব ৫ এর টপ থেকে ৮০% কারেকশন হয়। ওয়েব C এর এর পরে আবার একটি ফাস্ট , শার্প , স্ট্রং এবং বড় মুভ আসে।
ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট এন্ড প্রোজেকশান :
প্রতিটি ওয়েবের রিট্রেসমেন্ট এন্ড প্রোজেকশান কোম্পারিজন তার আগের ওয়েবের লেংথ থেকে হয়ে থাকে। এলিয়ট ওয়েবের ৮ টি ওয়েব কত টুকু হতে পারে। মানে হল কত টুকু বড় বা ছোট হতে পারে তার হিসাব করা। এক ওয়েবের সবচেয়ে কম কত হতে পারে আবার সর্বোচচ কত হতে পারে। প্রতিটি ওয়েবের লেংথ এবং লিমিট বের করার জন্য ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট এন্ড প্রোজেকশান ব্যবহার করা হয়।
রিট্রেসমেন্ট কারেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রোজেকশান ইমপালসের জন্য ব্যবহার করা হয়।
প্রতিটি ইম্পালসিভ ওয়েবের পর একটি কারেক্টিভ ওয়েব আসে আবার প্রতি কারেক্টিভ ওয়েবের পর একটি ইম্পালসিভ ওয়েব আসে।
রিট্রেসমেন্ট: একটি ইম্পালসিভ ওয়েবের পর একটি কারেক্টিভ ওয়েব আসে সেটির ডেপথকে মাপার জন্য যেটি ভাষাটি বেবহার করা হয় তাকে রিট্রেসমেন্ট বলে। ওয়েব ২ , ওয়েব ৪, ওয়েব B এর জন্য রিট্রেসমেন্ট ক্যালকুলেশন করা হয় তার আগের ইম্পালসিভ ওয়েব হতে । ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর ৬১% পর্যন্ত রিট্রেস করে। রিট্রেসমেন্টের জন্য ফিবোর লেভেল ব্যবহার করা হয় ২৩.৬%, ৩৮.২% , ৬১.৮%, ৭৮.৬%, ১০০%।
প্রোজেকশান: একটি ইম্পালসিভ ওয়েবের লেংথকে ক্যালকুলেশন করার জন্য প্রোজেকশান টুলস ব্যবহার করা হয়। প্রোজেকশানের জন্য ফিবোর লেভেল ব্যবহার করা হয় ৩৮.২% , ৬১.৮%, ১০০%, ১২৩.৮%, ১৬১.৮% । ওয়েব ৩ , ৫, C এর জন্য প্রোজেকশান ক্যালকুলেশন করা হয় তার আগের কারেক্টিভ ওয়েব হতে ।
ওয়েব ১ এবং ওয়েব A এর জন্য কোন ফিবোনাচ্চি ক্যালকুলেশন হয় না কারন এ ২ দুইটি নতুন ওয়েব তৈরী করে। তাই এ গুলি শেষ হবার জন্য অপেক্ষা করা লাগে।
নরমাল রিট্রেসমেন্ট / প্রোজেকশান লিমিট : বেশি ফলো হয়। ৭০-৮০% সময় মার্কেটে এ রিট্রেসমেন্ট হয়।
রিয়ার রিট্রেসমেন্ট / প্রোজেকশান লিমিট :কম ফলো হয়। ১০-২০% সময় মার্কেটে এ রিট্রেসমেন্ট হয়।
ম্যাক্সিমাম রিট্রেসমেন্ট লিমিট : রিট্রেসমেন্ট সর্বোচ্চ কোন পর্যন্ত রিট্রেসমেন্ট হতে পারে। যে পয়েন্টের বেশি রিট্রেস করতে পারবে না তাকে ম্যাক্সিমাম রিট্রেসমেন্ট লিমিট বলে। ।
মিনিমাম প্রোজেকশান লিমিট : ইম্পালসিভ ওয়েব কমপক্ষে কোন পর্যন্ত যেতে হতে পারে। যে পয়েন্টের কম প্রোজেকশান হতে পারবে না তাকে মিনিমাম প্রোজেকশান লিমিট বলে। এমন এক প্রোজেকশান টার্গেট যার নিচে হতে পারে পারে না বেশিরভাগ সময় টার্গেট তার উপরেই হয় ।
ওয়েব ২ এর ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট লিমিট :
ফিবোর ৩৮.২-৬১.৮ % পর্যন্ত হল ওয়েব ২ এর নরমাল রিট্রেসমেন্ট লিমিট। ৫০% এর বেশি কেসে ওয়েব ২ ৬১.৮ % বা তার চেয়ে বেশি রিট্রেস করে মেজর ওয়েব সাইকেলে। যদি ওয়েব ১ একটি বড় ওয়েব ৩ এর ইন্টারনাল ওয়েব ১ হয় তাহলে সেটি ৬১.৮ % বা তার চেয়ে কম রিট্রেস করতে পারে। সাধারণত ৩৮.২% পর্যন্ত রিট্রেস করে থাকে। রেয়ার কেসে ১০-২০% সময় ওয়েব ২ ৩৮.২% এর কম এবং ৬১.৮ % বেশি রিট্রেস করে থাকে। ওয়েব ২ ম্যাক্সিমাম ওয়েব ১ এর ১০০% যেতে পারবে। তার বেশি কোন ভাবেই যেতে পারবে না। ৬১.৮ % কে গোল্ডেন রেশিও বলা হয়। ৬১.৮ % এ বাই করে যদি ১০০% রিট্রেসমেন্ট এ স্টপ লস ধরে ট্রেড করে তাহলে উইনিং সম্ববনা বেশি থাকে তাই একে গোল্ডেন রেশিও বলা হয়। কারন এর পরে ওয়েব ৩ শুরু হয় যেটি অনেক দূর যায়। ফিবোর ৫০-৭০% রিট্রেসমেন্ট লেভেলের মধ্যে বেশি ভাগ ওয়েব ২ রিভার্স হয়। যদি কোনটা ওয়েব ৩ এর ইন্টারনাল ওয়েব ২ হয় সেটি ফিবোর ৬১.৮ % এর কম রিট্রেসমেন্ট হতে পারে। ওয়েব ৩ এর ইন্টারনাল ওয়েব ২ বেশিরভাগ সময় ৩৮.২ % হতে রিট্রেসমেন্ট হয়, ৩৮.২ % হতে কম রিট্রেসমেন্ট হতে পারে সেটি রেয়ার কেস। ওয়েব ৩ এর পার্সোনালিটি ফাস্ট , শার্প, স্ট্রং ও বড় তাই এ ওয়েবে রিট্রেসমেন্ট ছোট হয় এবং প্রোজেকশান বড় হয়। সে জন্য বেশির ভাগ সময় ওয়েব ৩ রিট্রেসমেন্ট মিনিমাম লিমিটে হয়।
ওয়েব ৩ এর ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশান লিমিট :
একে ওয়েব ৩ এর এক্সটেনশান লেভেল ও বলা যায়। একে ওয়েব ৩ এর লেংথ কমপক্ষে কত হবে এবং সর্বোচ্চ কত হবে তা নির্ণয় করা জন্য ফিবো এক্সটেনশান ব্যবহার করা হয়। ওয়েব ৩ এর এক্সটেনশান ওয়েব ১ এর কোম্পারিজনে হয়ে থাকে। যদি বলা হয় ওয়েব ৩ ১০০% টার্গেট মিট করেছে তার মানে হল ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর সমান লম্বা হয়েছে। ওয়েব ১ এর মিনিমাম এক্সটেনশান ১০০% তার মানে ওয়েব ১যতটুকু লম্বা ওয়েব ৩ মিনিমাম ততটুকু লম্বা হতে হবে বা তার চেয়ে বড় হতে হবে। কিছু রেয়ার ক্ষেত্রে ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর চেয়ে ছোট হতে পারে। ওটা শুধু লিডিং ডায়াগনাল এ হয়। ওয়েব ৩ ওয়েব ১ এর ফিবোর ১.১৬১% এক্সটেনশান হতে পারে। যদি ওয়েব ৩ ফিবোর ১.১৬১% এক্সটেনশান পর্যন্ত এচিভ করে তখন তাকে এক্সটেন্ডেড ওয়েব ৩ বলা হয়। ওয়েব ৩ ফিবোর ১.১৬১% এর চেয়ে ছোট হলে সেটি নরমাল এক্সটেনশান। ওয়েব ৩ ফিবোর ১.১৬১% এক্সটেনশান এর পর আর কোন ম্যাক্সিমাম লিমিট নাই আনলিমিটেড এক্সটেনশান বা টার্গেট হতে পারে ।
ওয়েব ৪ এর ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট লিমিট :
ওয়েব ৪ এর রিট্রেসমেন্ট ওয়েব ৩ এর কোম্পারিজনে হয়ে থাকে। ওয়েব ৪ কোথায় শেষ হবে সেটি জানার জন্য ওয়েব ৩ এর রিট্রেসমেন্ট ক্যালকুলেশন করা লাগে। ওয়েব ৪ এর নরমাল রিট্রেসমেন্ট (৭০%-৮০% সময় ) ওয়েব ৩ এর ২ ৩. ৬% থেকে ৩৮.২% পর্যন্ত। খুব কমই ৩৮.২% এর বেশি রিট্রেসমেন্ট করে। কারণ ওয়েব ৪ ওয়েব ১ এর টপ পয়েন্টের উপর থেকে রিভার্স হয়ে থাকে। কোন ভাবে এটি ওয়েব ১ এর টপ পয়েন্টের নিচে নামতে পারবে না।
ওয়েব ৫ এর ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশান লিমিট :
ওয়েব ৫ এর এক্সটেনশান ওয়েব ১ শুরু থেকে ওয়েব ৩ এর শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ টুকুর এর কোম্পারিজনে হয়ে থাকে। ওয়েব ৫ এর এক্সটেনশান লিমিট ওয়েব ১-৩ এর ৩৮.২% পর্যন্ত। যদি ওয়েব ৫ ফিবোর ৬১.৮% এক্সটেনশান পর্যন্ত এচিভ করে তখন তাকে এক্সটেন্ডেড ওয়েব ৫ বলা হয়। ওয়েব ৫ এর ম্যাক্সিমাম লিমিট এক্সটেনশান ১০০%. ১২৩.৬% হয়ে থাকে। তবে এটি ১% বা তার কম সময় হয়ে থাকে।
এলিয়ট ওয়েবের প্যাটার্ন সমূহের বর্ণনা :
ইম্পালস প্যাটার্ন :
ইম্পালস প্যাটার্ন একটি ৫ ওয়েব মুভ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাটার্ন কারন ৯০% সময় মার্কেটে এ প্যাটার্ন হয়ে থাকে। ইম্পালস প্যাটার্নের রুলস , গাইডলাইন , ক্যালকুলেশন এবং স্ট্রাকচার কিভাবে হয় তা জানা জরুরি। ইম্পালস প্যাটার্ন একটি ৫ ওয়েব প্যাটার্ন। ইমপালস হল সবচেয়ে সাধারণ মোটিভ ওয়েব এবং একটি মার্কেটে শনাক্ত করা সবচেয়ে সহজ। সমস্ত মোটিভ ওয়েবের মত , ইমপালস ওয়েবের পাঁচটি সাব - ওয়েব রয়েছে: তিনটি মোটিভ ওয়েবস এবং দুটি কারেক্টিভ ওয়েবস যার স্ট্রাকচার ৫-৩-৫-৩-৫ হিসাবে লেবেলযুক্ত। এ ওয়েব ফর্মেশান গুলি কিছু রুলসের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে একটি সেট আকারে হয়ে থাকে। যদি এই নিয়মগুলির মধ্যে কোন একটি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে ইমপালস ওয়েব গঠিত হবে না এবং ইমপালস ওয়েবটিকে পুনরায় লেবেল করতে হবে।
ইমপালস ওয়েব গঠনের তিনটি নিয়ম হল:
নিয়ম -১: ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর ১০০% এর বেশি রিট্রেস করতে পারে না।
নিয়ম -২: ওয়েব ৩ কখনই ১, ৩ এবং ৫ ওয়েবের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হতে পারে না।
নিয়ম -৩: ওয়েব ৪ কখনই ওয়েব ১ ওভারল্যাপ করতে পারে না।
একটি ইমপালস ওয়েবের মূল লক্ষ্য হল মার্কেটকে মুভ করানো এটি সম্পন্ন করার জন্য ইমপালস ওয়েভই সেরা।
স্ট্রাকচার:
এটির ইন্টারনাল ওয়েব স্ট্রাকচার হচ্ছে ৫-৩-৫-৩-৫। ৫-৩-৫-৩-৫ এর মানে হল ওয়েব ১ ইন্টারনাল প্যাটার্ন ৫ ওয়েবের হয় যেটিতে ওয়েব ১ ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের , ওয়েব ২ ইন্টারনাল প্যাটার্ন কারেক্টিভ হয় ৩ ওয়েবের, ওয়েব ৩ ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের, ওয়েব ৪ ইন্টারনাল প্যাটার্ন কারেক্টিভ হয় ৩ ওয়েবের এবং ওয়েব ৩ ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের।
রুলস:
রুলস ১: ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর স্টার্ট পয়েন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। মানে হল ওয়েব ২ ওয়েব ১ এর চেয়ে বড় হতে পারবে না। যেখান থেকে ওয়েব ১ শুরু হয় ওয়েব ২ ওই পয়েন্টকে ক্রস করে নিচে নামতে পারবে না। ওয়েব ১ এর শুরুর পয়েন্টের আগেই ওয়েব ২ শেষ হতে হবে।
রুলস ২: ওয়েব ৪ ওয়েব ১ এর ইন্ড পয়েন্টে টাচ করতে পারবে না বা ওয়েব ১ এর এরিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে না।
রুলস ৩: ওয়েব ৩ ছোট হতে পারবে না। ইমপালস ওয়েব তিনটির মধ্যে (১,৩,৫) ওয়েব ৩ সবচেয়ে ছোট হবে না।
রুলস ৪: ওয়েব ৫ ওয়েব ৩ ইন্ড পয়েন্টের এর উপরে ক্লোজ হতে হবে। যদি ওয়েব ৩ ইন্ড পয়েন্টের নিচে ওয়েব ৫ শেষ হয়ে যায় তা হলে বুজতে হবে ওয়েব ৫ তৈরী হয় নাই। ওয়েব ৫ তখনি হয় যখন ওয়েব ৩ ইন্ড পয়েন্টের এর উপরে যায়।
নোট : ওয়েব ৩ এবং ওয়েব ৫ এর মধ্যে যে কোন একটি এক্সটেন্ডেড ওয়েব হয় অথবা ২ টিই এক্সটেন্ডেড ওয়েব হতে পারে।
রুলস ৫: ওয়েব ৫ কে কমপক্ষে ফিবোর টার্গেট ৩৮.২% এচিভ করতে হবে। যদি ওয়েব ৪ বেশি কারেকশন হয়ে যায় আর মিনিমাম টার্গেট ৩৮.২% এচিভ করলে ওয়েব ৩ এর ইন্ড পয়েন্টের নিচে হয় তা হলে সেক্ষেত্রে টার্গেট মিনিমাম হবে ওয়েব ৩ এর এন্ড পয়েন্ট পর্যন্ত। যদি ওয়েব ৩ এক্সটেন্ডেড হয়। সেক্ষেত্রে ওয়েব ৫ কে ৩৫.২% টার্গেট করা উচিত। আর যদি ওয়েব ৩ এক্সটেন্ডেড না হয়। সেক্ষেত্রে ওয়েব ৫ কে ৬১.৮% টার্গেট করা উচিত।
রুলস ৬: একটি ইমপালস ওয়েবের ২ টি কারেক্টিভ ওয়েব থাকে। একটি অন্যটির বিপরীত হবার সম্বাবনা বেশি থাকে। যদি ওয়েব ২ স্লো ও সিম্পল হয়ে থাকে তাহলে ওয়েব ৪ ফাস্ট ও কমপ্লেক্স হবে। এ রুলস হতে হবে এটার কোন নিয়ম নাই।
ট্রাংশন : ওয়েভ ৫ ওয়েভ ৩ এর নিচে শেষ হতে পারে উহাকে ট্রাংশন বলে ।
২. ডায়গনাল :
অন্য ধরনের মোটিভ ওয়েববের মত হল ডায়গনাল ওয়েব যা সমস্ত মোটিভ ওয়েবের মতো। ডায়গনাল ওয়েব পাঁচটি সাব-ওয়েব নিয়ে গঠিত এবং ট্রেন্ডের দিকে চলে। ডায়গনাল ওয়েব একটি ওয়েজের মতো দেখায় যা প্রসারিত বা সংকুচিত হতে পারে। এছাড়াও, ওয়েজটির পাঁচটি সাব-ওয়েব নাও থাকতে পারে, এটি নির্ভর করে কোন ধরণের ওয়েজ গঠিত হচ্ছে তার উপর। অন্যান্য মোটিভ ওয়েববের মতো, ডায়গনাল ওয়েব প্রতিটি সাব-ওয়েব পূর্বের সাব-ওয়েবকে সম্পূর্ণরূপে ফিরে পায় না। এছাড়াও, ডায়গনাল ওয়েবের সাব-ওয়েব ৩ ছোট ওয়েব হবে না । শেষের ডায়গনাল ওয়েবটি সাধারণত একটি ইমপালস ওয়েবের ৫ বা কারেক্টিভ ওয়েবের শেষ ওয়েবে ঘটে যেখানে লিডিং ডায়গনাল একটি ইমপালস ওয়েবের ওয়েব ১ বা একটি জিগজ্যাগ কারেকশন ওয়েব A অবস্থানে পাওয়া যায়।
ডায়গনাল প্যাটার্ন ২ প্রকার
১. লিডিং ডায়গনাল ২. ইন্ডিং ডায়গনাল
লিডিং ডায়গনাল:
১. এটি একটি ইম্পালসিভ ওয়েব।
২. এটি ৫ ওয়েব স্ট্রাকচার। যেটির ইন্টারনাল প্যাটার্ন ১,২,৩,৪,৫।
৩. এটিতে ডায়গনাল তৈরী হয় এ জন্য এটিকে ডায়গনাল বলা হয়।
৪. এ প্যাটার্নে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করে। ইমপালস প্যাটার্নে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ আসতে পারেনা। কিন্তু ডায়গনাল প্যাটার্নে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করে এ জন্য একে ডায়গনাল বলা হয়। ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ এক ডায়গনাল তৈরী করে এ জন্য একে ডায়গনাল প্যাটার্ন বলে।
৫. এটি শুধুমাত্র ওয়েব ১ এ দেখা যায় বা তৈরী হয়।
৬. লিডিং ডায়গনাল এর পর ওয়েব ২,৩,৪ ৫ আসে তাই এটি চিনা খুব গুরুত্বপূর্ণ
৭. এটি একটি ইম্পালসকে শুরু করে এ জন্য একে লিডিং বলা হয়।
৮. এটিতে উপরে নিচে লাইন টানতে হয়। এ লাইন টানার পর দেখতে ট্রায়াঙ্গল বা ওয়েজের মত হয়। উপরের লাইন ইন্টারনাল ওয়েব ১ও ৩ এর টপ/ হাই/ইন্ড পয়েন্টকে টাচ করে টানা হয়। এরপর লাইনটিকে সামনে বর্ধিত করা হয়। নিচের লাইন ইন্টারনাল ওয়েব ২ও ৪ এর টপ/ হাই/ইন্ড পয়েন্টকে টাচ করে টানা হয়। এরপর লাইনটিকে সামনে বর্ধিত করা হয়। এ প্যাটার্নকে কনফার্ম করার জন্য প্রাইস এ দুই লাইনের বাহিরে যেতে পারবে না। ওয়েব ১ও ৩ অবশ্যই এ লাইনকে টাচ করবে কিন্তু ওয়েব ৫ এ লাইনকে টাচ করতে পারে আবার নাও করতে পারে।
৯. লিডিং ডায়গনাল এর ইন্টারনাল স্ট্রাকচার ৫-৩-৫-৩-৫।
১০. লিডিং ডায়গনাল এর ইন্টারনাল ওয়েব ৫ ওয়েব ৩ এর উপরে বা ক্রস করে কমপ্লিট হবে। ইন্টারনাল ওয়েব ৫ সর্বোচ্ছ উপরের লাইনকে টাচ করতে পারবে কিন্তু উপরের লাইনকে ক্রস করতে পারবে না। এটি ওয়েব ১ও ৩ এর বর্ধিত লাইনের নিচে শেষ হয়ে যাবে। ইন্টারনাল ওয়েব ৫ বর্ধিত লাইনকে টাচ করতে পারে তবে টাচ করা জরুরি নয়। ইন্টারনাল ওয়েব ৫ বর্ধিত লাইনকে ক্রস করে তবে এ প্যাটার্নটি ভুল। তখন এটি লিডিং ডায়গনাল নয়।
১১. এ প্যাটার্নের ব্রেকআউট সব সময় ওয়েব ২ও ৪ এর লাইনকে ক্রস করে নিচের দিকে হয়। এর পর ওয়েব ২ হয়।
স্ট্রাকচার অনুযায়ী ইমপালস এবং লিডিং ডায়গনালে পার্থক্য:
স্ট্রাকচার অনুযায়ী ইমপালস এবং লিডিং ডায়গনালে পার্থক্য একটি সেটি হল লিডিং ডায়গনালে ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ করে।
লিডিং ডায়গনাল চিনার উপায় :
ওয়েব ৪ ওয়েব ১ কে ওভারল্যাপ এক ডায়গনাল তৈরী করা।
লিডিং ডায়গনাল ফিবোনাচ্চি রুলস :
১. এ প্যাটার্নের ওয়েব ৩ এক্সটেন্ডেড হতে পারবে না। মানে হলে ইন্টারনাল ওয়েব ৩ ফিবোর ১.৬১৮ এর বেশি প্রজেকশান বা এক্সটেনশান হবে না।
২. এ প্যাটার্নের ওয়েব ৫ সব সময় এক্সটেন্ডেড হয়। মানে হলে ইন্টারনাল ওয়েব ৫ ফিবোর ১.৬১৮ এর বেশি প্রজেকশান বা এক্সটেনশান হবে।
লিডিং ডায়গনাল এবং ইন্ডিং ডায়গনাল প্যাটার্নের পার্থক্য গুলি কি কি?
লিডিং ডায়াগোনাল প্যাটার্ন ট্রেন্ড এর সুরুতে পাবেন মানে ওয়েভ ১ অথবা ওয়েভ এ তে... আর ইন্ডিং ডায়াগোনাল প্যাটার্ন পাবেন ওয়েভ ৫ অথবা ওয়েভ সি তে।
লিডিং ডায়াগোনাল বটম থেকে উঠার সময় সৃষ্টি হয় এবং দূর্বল ট্রেডারদের বের করে দেই
যেমন বেক্সিমকো ১৩ থেকে ২৮ তারপর লিডিং ডায়গণাল করে ২২ টাকায় সবাইকে কিক করে বের করে দেই
আর এন্ডিং ডায়গোনাল একদম টপে আর বটমে সৃষ্টি হয়
সাধারণত ইমপালসের ওয়েব ১ এবং জিগজ্যাগ এর ওয়েব এ তে লিডিং ডায়গোনাল হয়।
অন্যদিকে ইমপালসের ওয়েব ৫ এবং জিগজ্যাগ অথবা ফ্ল্যাট এর ওয়েব সি তে ইন্ডিং ডায়গোনাল হয়।
লিডিং ডায়গোনাল স্ট্যাকচার ৫-৩-৫-৩-৫ অথবা ৩-৩-৩-৩-৩ হতে পারে।
অন্যদিকে ইন্ডিং ডায়গোনাল স্ট্যাকচার শুধু মাত্র ৩-৩-৩-৩-৩ হয়।
৩. জিগ-জ্যাগ :
সিম্পল জিগজাগ কারেকশন :
জিগ-জ্যাগ হল একটি কারেক্টিভ ওয়েব যা A, B এবং C হিসাবে লেবেলযুক্ত ৩ টি ওয়েব দ্বারা গঠিত যা শক্তিশালী ভাবে উপরে বা নীচে চলে। A এবং C ওয়েব ইমপালস ওয়েব যেখানে B ওয়েব একটি কারেক্টিভ ওয়েব(প্রায়ই ৩ টি সাব - ওয়েব সহ )। জিগজ্যাগ প্যাটার্ন হল বুলিশ রেলির পরে তীব্র পতন বা বিয়ার ট্রেন্ডের আগমন অগ্রগতি যা আগের ইমপালস প্যাটার্নের প্রাইসকে যথেষ্ট পরিমাণে সংশোধন করে। জিগজ্যাগ গুলিও কয়েকটি মিলে তৈরি হতে পারে যা ডাবল বা ট্রিপল জিগজ্যাগ নামে পরিচিত, যেখানে দুটি বা তিনটি জিগজ্যাগ তাদের মধ্যে আরেকটি কারেক্টিভ ওয়েব দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
মার্কেটে ৬০% সিম্পল জিগজাগ কারেকশন তৈরী হতে দেখা যায়। সিম্পল জিগজাগ কারেকশননের পর একটি বড় ইমপালস মুভ হয় তাই সিম্পল জিগজাগ কারেকশন চিনতে পারা খুবই জরুরি। সিম্পল জিগজাগ একটি কারেক্টিভ প্যাটার্ন যে টি ওয়েব ২,৪ এবং ওয়েব B তে দেখা যায়।
স্ট্রাকচার :
সিম্পল জিগজাগ একটি ৩ ওয়েব প্যাটার্ন। যেটিকে A ,B, C দিয়ে বুঝানো হয়। এতে ৩ ওয়েব হয় A ,B, C যেটি একটি একটি সিম্পল জিগজাগ প্যাটার্ন। A ,B, C এর ইন্টারনাল স্ট্রাকচার ৫-৩-৫। ৫-৩-৫ এর মানে হল ওয়েব A ইন্টারনাল প্যাটার্ন ৫ ওয়েবের হয় যেটিতে ওয়েব ১ ইমপালস ওয়েব হয় ৫ ওয়েবের , ওয়েব B ইন্টারনাল প্যাটার্ন কারেক্টিভ ওয়েব হয় ৩ ওয়েবের, ওয়েব C ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের।
রুলস:
রুলস ১- ওয়েব B ওয়েব A এর স্টার্ট পয়েন্টে টাচ করবে না বা A এর জোনে প্রবেশ করতে পারবে না। ওয়েব B ওয়েব A কে ১০০% বা তার বেশি রিট্রেস করবে না। ওয়েব B এর স্টার্ট পয়েন্ট সবসময় ওয়েব A এর স্টার্ট পয়েন্টের উপর থেকে শুরু হতে হবে।
রুলস ২:ওয়েব C ওয়েব A এর ইন্ড পয়েন্টের পরে শেষ হবে। ওয়েব C ওয়েব A এর ইন্ড পয়েন্টকে আগে শেষ হবে না। মানে হল ওয়েব C ওয়েব A কে অতিক্রম করে শেষ হবে।
C কখনো ওয়েব ৪ এর ইন্ড পয়েন্টের নিচে নামবে না ।
ফিবো অনুযায়ী রুলস :
১. ওয়েব B ওয়েব A কে ১০০% বা তার বেশি রিট্রেসমেন্ট করবে না। ওয়েব B ওয়েব A এর স্টার্ট পয়েন্টে টাচ করবে না বা ওয়েব A কে ক্রস করে নিচে নামতে পারবে না। ওয়েব B বেশিরভাগ সময় ওয়েব A এর ৩৮.২% থেকে ৬১.৮% লিমিট পর্যন্ত রিট্রেসমেন্ট হয়ে থাকে। ওয়েব B ৩৮.২% ছোট ও হতে পারে আবার ৬১.৮% এর চেয়ে বড় ও হতে পারে।
২. ওয়েব C ওয়েব A এর মিনিমাম ৬১.৮% লিমিট এক্সটেনশন হতে হবে। ওয়েব C ১০০% থেকে ১২৩.৬ % লিমিট পর্যন্ত এক্সটেনশন হতে পারে। ১০০% থেকে কম এক্সটেনশন খুব কম সময় দেখা যায়।
৪. ফ্লাট বা সাইডওয়েজ:
ফ্লাট ওয়েব হল আরেকটি তিন-ওয়েব সংশোধন যাতে সাব ওয়েব - ৩-৩-৫ কাঠামোতে গঠিত হয় যা একটি A-B-C কাঠামো হিসাবে লেবেল করা হয়। ফ্লাট ওয়েব কাঠামোতে, A এবং B উভয় ওয়েব কারেক্টিভ ওয়েব এবং ওয়েব মোটিভ প্যেব C ৫ টি সাব - ওয়েব বিশিষ্ট। এই প্যাটার্নটি ফ্ল্যাট হিসাবে পরিচিত কারণ এটি সাইডওয়েজে চলে যায়। সাধারণত, একটি ইমপালস ওয়েবের চতুর্থ ওয়েবে একটি ফ্লাট ওয়েব থাকে যেখানে দ্বিতীয় ওয়েব খুব কমই থাকে।
টেকনিক্যাল চার্টে, বেশিরভাগ ফ্ল্যাটগুলি সাধারণত পরিষ্কার দেখায় না কারণ এই কাঠামোতে বৈচিত্র রয়েছে।
একটি ফ্ল্যাটে A ওয়েবের শুরুর বাইরে B ওয়েব শেষ হতে পারে এবং C ওয়েব B ওয়েবের শুরুর পরেও শেষ হতে পারে। এই ধরনের ফ্ল্যাটকে প্রসারিত ফ্ল্যাট বলা হয়। উপরে আলোচিত সাধারণ ফ্ল্যাটের তুলনায় প্রসারিত ফ্ল্যাট বাজারে বেশি দেখা যায়।
৩-৩-৫ ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন :
এটি ইরেগুলার কারেক্টিভ প্যাটার্নের (৫-৩-৫ বা ৩-৩-৫) মতই একটি কারেক্টিভ প্যাটার্ন। ইরেগুলার কারেক্টিভ প্যাটার্নের থেকে আমরা জেনেছি যখন একটি A B C ওয়েবে, ওয়েব B ওয়েব A থেকে বড় হয়ে যায় বা ওয়েব B ওয়েব A এর স্টার্ট পয়েন্টকে ক্রস করে যায় তখন ইররেগুলার প্যাটার্ন হয়। কিছু কিছু সময় এমন হয় ওয়েব B ওয়েব A কে ১০০% রিট্রেস করে অর্থাৎ ওয়েব A এর স্টার্ট পয়েন্ট এবং ওয়েব B এর ইন্ড পয়েন্ট সমান হয় তখন ঐ কারেকশান কে ৩-৩-৫ ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন বলে।
স্ট্রাকচার :
৩-৩-৫ ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন একটি ৩ ওয়েব প্যাটার্ন। যেটিকে A ,B, C দিয়ে বুঝানো হয়। A ,B, C এর ইন্টারনাল স্ট্রাকচার ৩-৩-৫। ৩-৩-৫ এর মানে হল ওয়েব A ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৩ ওয়েবের, ওয়েব B ইন্টারনাল প্যাটার্ন কারেক্টিভ ওয়েব হয় ৩ ওয়েবের, ওয়েব C ইন্টারনাল প্যাটার্ন ইমপালস হয় ৫ ওয়েবের। ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন ৫-৩-৫ কক্ষই হবে না। ফ্লাট কারেকশানের পর যে রিভার্সাল হয় সেটি খুব ফাস্ট এবং শার্প হয়। এটি খুব রেয়ার প্যাটার্ন। ফ্লাট কারেকশান প্যাটার্ন ডাবল টপ /ডাবল বটম ও বলা যায় ।
৫. ট্রায়াঙ্গল :
ট্রায়াঙ্গল হল একটি প্যাটার্ন যা একটি ৩-৩-৩-৩-৩ কাঠামোর আকারে পাঁচটি সব-ওয়েব নিয়ে গঠিত, যেটিকে A-B-C-D-E হিসাবে লেবেল করা হয়েছে। এই কারেক্টিভ প্যাটার্নটি শক্তির ভারসাম্য দেখায় এবং এটি সাইডওয়েজের দিকে যায় । ট্রায়াঙ্গলটি হয় প্রসারিত হতে পারে, যাতে নিচের প্রতিটি সাব -ওয়েব বড় হয় বা সংকুচিত হয়, যা একটি ওয়েজের আকারের হয় ।
ট্রায়াঙ্গলগুলিকে সিমেট্রিক্যাল , এসেনডিং বা ডিএসেনডিং ট্রায়াঙ্গল হিসাবেও শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে সেটি নির্ভর করে ট্রায়াঙ্গলগুলি সাইডওয়েজ , আপে ফ্লাট টপ বা নীচে ফ্লাট বটম নির্দেশ করছে কিনা সেটির উপর । ট্রায়াঙ্গলগুলির সাব-ওয়েব গুলি জটিল সংমিশ্রণে গঠিত হতে পারে। একটি ত্রিভুজ চিহ্নিত করার জন্য এটি সহজ মনে হতে পারে, মার্কেটে তাদের সনাক্ত করার জন্য এটি একটু অনুশীলন করতে হবে।
এলিয়ট ওয়েব ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন:
ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন মূলত abcde নিয়ে গঠিত হয়। ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন ৫ ওয়েবের হয় a ওয়েব, b ওয়েব, c ওয়েব, d ওয়েব এবং e ওয়েব। ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নে সাধারণত e ওয়েবের এর বিপরীত পাশে ব্রেকআউট হয়। চার্টে আপট্রেন্ড ( উপরের) থেকে নামলে a পয়েন্ট নিচের লাইনে হয় আর ডাউনট্রেন্ড (নিচের) থেকে উঠলে a পয়েন্ট উপরের লাইনে হয়। চার্টে আমরা বিভিন্ন রকম ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন দেখতে পাই। স্ট্রাকচার ৩-৩-৩-৩-৩। ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন কারেক্টিভ ওয়েবে হয়। যেটি আগের ট্রেন্ড চলমান থাকবে বুঝায়। বুলিশ মার্কেট হলে ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নের abcde ওয়েব শেষ হলে মার্কেট আবার বুলিশ হবে বুঝা যায়। বিয়ারিশ মার্কেট হলে ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নের abcde ওয়েব শেষ হলে মার্কেট আবার বিয়ারিশ হবে বুঝা যায়।
১. ট্রায়াঙ্গলে প্রাইস সাইডওয়েজে চলে। চার্টে প্রায়শই এটিকে দেরিতে চিনা যায় কারন মাঝে মাঝে এটি জটিল হয়ে যায় ।
২. ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন মূলত abcde নিয়ে গঠিত হয়।
৩. e ওয়েবের এর বিপরীত পাশে ব্রেকআউট হয়।
৪. ট্রায়াঙ্গলে ট্রেড না করাই উচিত। এটি অনেক সময় ট্রেন্ডলাইন ভেঙে ট্র্যাপ করে বা ফলস ব্রেকআউট করে ।
৫. abcde প্রতিটি ওয়েব ৩ টি সাব ওয়েব নিয়ে তৈরি হয় বা প্রতিটি সাব ওয়েব ৩-৩-৩-৩-৩ হয়।
৬. এটি দেখতে ডায়গনালের মত হয়।
৭.
এলিয়ট ওয়েব অনুযায়ী ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন তিন প্রকার :
কন্ট্রাকটিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন:
কন্ট্রাকটিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন এ উপরের এবং নিচের লাইন দুইটি সংকুচিত হয়ে আসে। কন্ট্রাকটিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন ৩ প্রকার ১.এসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল ২. ডিএসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল ৩. সিমেট্রিক্যাল ট্রায়াঙ্গল। এ গুলি ওয়েব ৪ ও ওয়েব B এর জিগজ্যাগ প্যাটার্নে হিসাবে দেখা যায়। ট্রায়াঙ্গলের ওয়েব E তে প্যাটার্ন হিসাবে দেখা যায়। জিগজ্যাগগের ওয়েব X ও X X এ প্যাটার্নে হিসাবে দেখা যায়। জিগজ্যাগের ওয়েব Y ও Z এ প্যাটার্ন হিসাবে দেখা যায়। কমপ্লেক্সের ওয়েব Y ও Z এ প্যাটার্ন হিসাবে দেখা যায়।
ওয়েব গুলি একটি আরেকটিকে অতিক্রম করবে না। শুধু ওয়েব B ওয়েব A কে অতিক্রম করতে পারে। তাকে ইরেগুলার প্যাটার্ন বলে।
বেরিয়ার ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন:
বেরিয়ার ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন এ একটি হরিজেন্টাল ভাবে ফিক্সড থাকে অপর লাইনটি উপরে বা নিচে সংকুচিত/প্রসারিত হয়ে আসে।
এক্সপেনডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন:
এক্সপেনডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন এ উপরের এবং নিচের লাইন দুইটি ডাইভারজেন্স হয়ে যায়।
ইরেগুলার প্যাটার্ন :
আপসাইড ইরেগুলার প্যাটার্ন , ডাউনসাইড ইরেগুলার প্যাটার্ন, ডাবল ইরেগুলার প্যাটার্ন, ইরেগুলার প্যাটার্ন চেঞ্জ ৩৮% রিট্রেসমেন্ট ব্রেকআউট স্ট্রেটেজি, গোল্ডেন ট্রেডিং স্ট্রেটেজি: ৩৮% রিট্রেসমেন্ট ব্রেকআউট স্ট্রেটেজি + ১:৩ রিস্ক রিওয়ার্ড
ডাবল জিগজাগ করেকশান:
ডাবল জিগজাগ করেকশানকে কমপ্লেক্স করেকশান বা কম্বিনেশন করেকশান ও বলা হয়। এলিয়ট ওয়েব থিওরিতে ডাবল জিগজাগ করেকশানকে চিনিত করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। এটি সিম্পল জিগজাগ করেকশান ও ইরেগুলার করেকশানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। ডাবল জিগজাগ করেকশানের স্ট্রাকচার, রুলস, গাইড লাইন, কি ভাবে কনফিউজড করে, চিন্নিত করার উপায় কি এবং একে ম্যানেজ করার উপায় কি।
ডাবল জিগজাগ করেকশান ২টি জিগজাগ করেকশানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। এ দুটি জিগজাগ করেকশান একটি লিংঙ্ক ওয়েবের সাথে কানেক্টেড হয়। দিকে এ ডাবল জিগজাগ করেকশান তৈরী হয় ওই দিকে ২ জিগজাগ করেকশান বা ABC প্যাটার্ন এবং এ দুইটি একটি লিংক ওয়েব X এর সাথে কানেক্টেড হয়। ওয়েব X বিপরীত দিকে থাকে।
স্ট্রাকচার, রুলস এবং গাইডলাইন্স :
ডাবল জিগজাগ করেকশানের স্ট্রাকচার হল ABC-১-X-ABC-২ । এটিকে ABC-abc -ABC ও বলা যায়। তবে এটিকে ABC-১-X-ABC-২ কারন এখানে প্রতিটি ওয়েবের আলাদা রুলস হয়। ওয়েব ABC-১ এর প্যাটার্ন সিম্পল জিগজাগ করেকশান বা ইরেগুলার করেকশান বা ফ্লাট কারেকশান হতে পারে। ওয়েব X এর প্যাটার্ন ৫ টি কারেক্টিভ প্যাটার্নের (১. সিম্পল জিগজ্যাগ ২. রেগুলার ৩. ফ্লাট ৪. ডাবল জিগজাগ ৫. ট্রায়াঙ্গল ) যে কোনটি হতে পারে। ABC-১ও ABC-২ কমপ্লেক্স কারেকশন হয় না, এ দুটি ওয়েব সিম্পল জিগজ্যাগ, ইরেগুলার বা ফ্লাট কারেকশান হয়। ওয়েব X কমপ্লেক্স প্যাটার্ন বা সিম্পল প্যাটার্ন, ইরেগুলার প্যাটার্ন হতে পারে। ওয়েব X ইরেগুলার হলে ABC-২ ওয়েব ABC-১ ওয়েবের আগে শেষ হতে পারে। ওয়েব X যদি ইরেগুলার প্যাটার্ন না হয় তাহলে ABC-২ ওয়েব ABC-১ ওয়েবের পরে বা ক্রস করে শেষ হতে হবে। WXY ডাবল জিগজাগ করেকশান প্যাটার্ন।
ডাবল জিগজাগ করেকশান কি ভাবে কনফিউজড করে:
ডাউনট্রেন্ডে যখন ABC করেকশান মুভ হয় তখন আমরা ভাবি এর পর একটি ইমপালস মুভ আসবে, যেটি লাস্ট লো কে ক্রস করে নিচে চলে যাবে। অর্থাৎ A এর স্টার্ট পয়েন্টের নিচে প্রাইস চলে যাবে। প্রাইস নিচে গিয়ে A এর স্টার্ট পয়েন্টের আগে রিভার্সাল হয়।
ত্রিপল জিগজাগ করেকশান:
ত্রিপল জিগজাগ করেকশানকে সবচেয়ে কমপ্লেক্স করেকশান বা কম্বিনেশন করেকশান ও বলা হয়। ত্রিপল জিগজাগ করেকশান ৩টি জিগজাগ করেকশানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। বা ৩টি ABC সাইকেল কম্বিনেশনে হয়। এ ৩টি জিগজাগ করেকশান ২ টি লিংঙ্ক ওয়েবের সাথে কানেক্টেড হয়। ত্রিপল জিগজাগ করেকশান একটি ক্লোজ প্যাটার্ন যেটি ট্রায়াঙ্গল বা ওয়েজ বানায়। এটিতে লাইন আঁকা লাগে। এ প্যাটার্ন চিনার জন্য লাইন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ। লাইনের মাধ্যমে বুঝা যায় এ প্যাটার্ন ভ্যালিড নাকি ভ্যালিড নয় বা এটি ত্রিপল জিগজাগ হবে নাকি হবে না। এ প্যাটার্ন খুব কমই দেখা যায়।
ত্রিপল জিগজাগ করেকশান জিগজাগ করেকশান তৈরী হয় ৩ ABC সাইকেলের কম্বিনেশন। যে ২ টি লিংক X এর সাথে কানেক্টেড হয়।
ডাবল জিগজাগ করেকশানের স্ট্রাকচার হল ABC-১-X১-ABC-২-X২-ABC-৩ । প্রথমে একটি ABC-১ সাইকেল আসে তারপর লিংকওয়েব X১আসে এরপর দ্বিতীয় ABC-২ সাইকেল আসে আবার একটি লিংকওয়েব X২ আসে শেষে তৃতীয় ABC-৩ আসে। এ সব গুলির পর ত্রিপল জিগজাগ করেকশান কমপ্লিট হয়। এলিয়ট ওয়েব থিওরি মতে একে WXY-YXZ । ডাবল জিগজাগ করেকশানের ABC-১, ABC-২ ও ABC-৩ একই দিকে থাকে এবং X১এবং X২ বিপরীত দিকে থাকে। ABC-১, ABC-২ ও ABC-৩ কমপ্লেক্স কারেকশন হয় না, এ দুটি ওয়েব সিম্পল জিগজ্যাগ, ইরেগুলার বা ফ্লাট কারেকশান হয়।
ওয়েব X১ ও X২ এর প্যাটার্ন ৫ টি কারেক্টিভ প্যাটার্নের (১. সিম্পল জিগজ্যাগ ২. রেগুলার ৩. ফ্লাট ৪. ডাবল জিগজাগ ৫. ট্রায়াঙ্গল ) যে কোনটি হতে পারে। ওয়েব X১ ইরেগুলার হতে পারে। ওয়েব X১ প্রথম ABC-১এর স্টার্ট পয়েন্টকে ক্রস করতে পারে। যখন এটি হয় তখন তাকে ইরেগুলার ওয়েব X বলে। ত্রিপল জিগজাগ করেকশান ওয়েব X ইরেগুলার হতে পারে। এর পরের যে ওয়েব X২ হবে সেটি X১ এর নিচেই শেষ হতে হবে। ABC সাইকেলে X১ ইরেগুলার হোক বা না হোক প্রথম ABC-২ সাইকেল ABC-১ এর নিচে শেষ হবে। মানে হল C-২ শেষ হবে C-১এর নিচে এর পর C-৩ শেষ হবে C-২এর নিচে শেষ হবে। কারেক্টিভ প্যাটার্নের স্লোভ ডাউন সাইডে হবে। আপসাইডে প্যাটার্নের হয় তাহলে রাইজিং ওয়েজ হবে। প্যাটার্নের স্লোভ আপসাইডে হবে।
ত্রিপল জিগজাগ করেকশান লাইন আঁকা:
ওয়েজ প্যাটার্ন তখন হবে যখন লাইন আঁকা হবে। লাইন আঁকার রুলস এ প্যাটার্নে ২ লাইন ড্র হয় প্রথম লাইন X১ এবং X২ কে জয়েন করার মাধ্যমে হয়। অন্য লাইন C-১ এবং C-২ কে জয়েন করার মাধ্যমে হয়। কোন ইন্টারনাল ওয়েব এ লাইনকে ক্রস করতে পারবে না , যদি করে তা হলে এ প্যাটার্ন ইনভ্যালিড। ইন্টারনাল ওয়েব এ লাইনকে ক্রস তখন এটি ত্রিপল জিগজাগ না হয়ে অন্য কোন প্যাটার্ন হবে। C-৩ শেষ হবে C-২এর নিচে শেষ হবে কিন্তু লাইনের উপরে শেষ হবে। প্রাইস যেকোন প্যাটার্ন ব্রেকআউট করে তখন X১ এবং X২ কে ক্রস করে উপরে চলে যায়। প্রাইস ব্রেকআউট হয় ত্রিপল জিগজাগ করেকশান প্যাটার্ন শেষ করার পর। ত্রিপল জিগজাগ করেকশান প্যাটার্ন যতক্ষণ শেষ না হবে প্রাইস ততক্ষন এ চ্যানেল ব্রেকআউট হবে না। ত্রিপল জিগজাগ করেকশান প্যাটার্ন কমপ্লিট হবার পর প্রাইস ব্রেকআউট হয়। সবসময় X১ এবং X২ লাইন দিয়ে ব্রেকআউট হয়।
সাব অরডিনেট কারেকশান:
ওয়েব ২ যতটুকু কারেকশান হয়েছে ওয়েব ৪ ততটুকু কারেকশান হতে হবে। সর্বোচ্চ ৫% কম বেশি হতে পারে। যখন এ ধরণের কারেকশান হয় তখন তাকে বলে সাব অরডিনেট কারেকশান। এ ধরণের কারেকশান হলে এটি মার্কেটে হেলথ কন্ডিশন ঠিক আছে বুঝায়। ওয়েব ২ = ওয়েব ৪ এবং ওয়েব ABC হলে তাহলে মার্কেট আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ড কন্টিনিউ করবে। কারেকশান গুলি একই সিরিজে চলবে। ৫% এর বেশি কারেকশান হলে এটি ইনভেলিড হয়ে যাবে। এর আগ পর্যন্ত পুরাটাই একটা ওয়েব হিসাব করতে হবে। সেটি ক্র্যাশে পরিণত হবে।
ডিগ্রি কারেকশান বা ক্র্যাশ:
যখন কারেকশান আগের কারেক্টিভ ওয়েবের চেয়ে ৩০% বা তার বেশি যখন কারেকশান হয় তখন এ ধরণের এ কারেকশনকে ডিগ্রি কারেকশান বা ক্র্যাশ বলে। এটি কত দূর যাবে তার কোন লিমিট নাই।
বিভিন্ন ধরনের কারেক্টিভ ওয়েভ প্যাটার্ন
এলিয়ট সাহেবের মতে, ২১ ধরনের ABC কারেকটিভ প্যাটার্ন আছে। সেগুলো হলঃ
- জিগজ্যাগ
- ফ্ল্যাট
- ট্রায়াঙ্গেল
জিগজ্যাগ
জিগজ্যাগ ফরমেশন খুব খাড়া মুভ যেটা ট্রেন্ডের বিপরিতে তৈরি হয়। ওয়েভ B সাধারনত A ও C এর তুলনায় সবচেয়ে ছোট মাপের হয়ে থাকে।
এই ফরমেশন একটা কারেকশনে ২ থেকে ৩ বার দেখা যেতে পারে। প্রতিটা জিগজ্যাগ প্যাটার্নকে আবার ৫ টা ওয়েভ প্যাটার্নে ভাগ করা যায়।
ফ্ল্যাট
ফ্ল্যাট ফরমেশন চওড়া ওয়েভে মুভ। ওয়েভের মাপ সাধারনত দৈর্ঘে সমান মাপের হয়। এতে B ওয়েভ সাধারনত A এর মুভ বাতিল করে এবং C ওয়েভ B এর মুভ বাতিল করে।
এখানে সাধারনত ব্যাবহার করা হয়েছে কারন মাঝেমধ্যে B ওয়েভ A ওয়েভের শুরুকে অতিক্রম করে।
ট্রায়াঙ্গেল
ট্রায়াঙ্গেল ফরমেশন হল সেই কারেকশন প্যাটার্ন যেগুলো কনভারজিং অথবা ডাইভারজিং ট্রেন্ডলাইন দিয়ে সংঘটিত হয়। ট্রায়াঙ্গেল ৫ ওয়েভ দ্বারা গঠিত হয়। এগুলো ট্রেন্ডের বিপরীতে সাইডওয়েতে মুভ করে। এই ট্রায়াঙ্গেলগুল সিমেট্রিক্যাল, উদ্ধগামি অথবা নিম্নগামি হতে পারে। নিচের ছবিগুলো দেখুন
ওয়েভের মধ্যে ওয়েভআগে বলেছিলাম যে এলিয়ট ওয়েভ হল ফ্রাক্টাল। প্রতিটা ওয়েভ সাব-ওয়েভ দ্বারা গঠিত। নিচের ছবিটি দেখুনঃ
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ওয়েভ ১, ৩, আর ৫ ছোট ৫ ওয়েভ ইম্পালস প্যাটার্ন তৈরি করেছে আর ওয়েভ ২ আর ৪ ছোট ৩-ওয়েভ কারেকশন প্যাটার্ন তৈরি করেছে? সবসময় মনে রাখবেন যে প্রতিটা ওয়েভ ছোট ছোট ওয়েভ প্যাটার্ন দ্বারা গঠিত হয় আর এগুলো মার্কেটে বার বার ঘটে।
সহজে ওয়েভ চেনার জন্য এলিয়ট ওয়েভ থিওরিতে ওয়েভকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করতে বিশেষ কিছু লেবেল ব্যাবহার করা হয়। এগুলো ছোট থেকে বড়তে সাজানো হয়। প্রত্যেক ধরনের ওয়েভের নাম, লেবেল, ও টাইম পেরিওড নিচে দেয়া হলঃ
উপরের চার্ট অনুযায়ী গ্রান্ড সুপার সাইকেল গঠিত হয় সুপার সাইকেল দ্বারা, সুপার সাইকেল গঠিত হয় সাইকেল দ্বারা ইত্যাদি। নিম্নে ওয়েভের অঙ্কিত একটা চার্ট দেয়া হলঃ
চার্ট দেখে বুঝতে পারছেন যে রিয়েল চার্টে ওয়েভ পারফেক্ট হয় না। এছাড়াও মাঝেমধ্যে ওয়েভ লেবেল করা কষ্টকর হয়ে থাকে। কিন্তু চর্চা করলে এসব কম কষ্টদায়ক হবে।
এলিয়ট ওয়েভের ৩ টি মৌলিক নীতিওয়েভগুলতে লেবেল লাগাতে ৩ টা মৌলিক নীতি আছে যা ভাঙা যাবে না। সেগুলো হলঃ
নীতি ১ - ইম্পালসিভ ওয়েভের মধ্যে ওয়েভ ৩ সবচেয়ে ছোট হতে পারবে না।
নীতি ২ – ওয়েভ ২ ওয়েভ ১ এর শুরুকে অতিক্রম করতে পারবে না।
নীতি ৩ – ওয়েভ ৪ ওয়েভ ১ এর প্রাইস এরিয়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।
এখানে ৩ টা মুখ্য গাইডলাইন উল্লেখ করা হল। উপরক্ত নীতি যেমন সবসময় মানতে হবে, এগুলো সবসময় না মানলে চলবে।সেগুলো হলঃ
গাইডলাইন ১ – যখন ওয়েভ ৩ সবচেয়ে বড় ইম্পালস ওয়েভ, ওয়েভ ৫ আনুমানিকভাবে ওয়েভ ১ এর সমান হবে।
গাইডলাইন ২ – ওয়েভ ২ এবং ৪ পর্যায়ক্রমিক হবে। যদি ওয়েভ ২ একটা খাড়া কারেকশন হয়, ওয়েভ ৪ ফ্ল্যাট কারেকশন হবে। ওয়েভ ২ ফ্ল্যাট হলে, ওয়েভ ৪ খাড়া কারেকশন হবে।
গাইডলাইন ৩ – ৫ম ইম্পালস ওয়েভের পরে, ABC কারেকশন সাধারনত ওয়েভ ৪ এর লো এর মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে।
আমরা যারা টেকনিক্যাল এনালাইসিস জানিনা বা কম বুঝি তারা একটি শেয়ার কিভাবে সিলেক্ট করব।
একটি শেয়ার এর জীবনচক্র কে আমরা এক বছরের রেকর্ডডেট থেকে পরের বছরের রেকর্ড ডেট পর্যন্ত একটি বছর হিসাবে বিবেচনা করতে পারি।
আমরা প্রথমে একটি শেয়ারের বাৎসরিক হাই প্রাইস এবং বাৎসরিক লো প্রাইস বের করে নিব। বাৎসরিক হাই প্রাইস এবং বাৎসরিক লো প্রাইস কে আমরা তিনটি পর্যায়ে ভাগে ভাগ করব। প্রথম পর্যায় হল প্রাইস বাৎসরিক লো হতে ০-৩০% এর মধ্যে। দ্বিতীয় পর্যায় প্রাইস বাৎসরিক লো হতে ৩০-৮০% এর উপরে। তৃতীয়
পর্যায় প্রাইস বাৎসরিক হাইয়ের ৮০-১০০% এর মধ্যে। একটি শেয়ার নির্বাচন করার প্রথমে আমরা শেয়ারটির প্রাইস লোকেশন দেখে নিব। শেয়ারটি তিন পর্যায়ের কোন পর্যায়ে আছে। বাৎসরিক লো প্রাইস থেকে শেয়ারটি বর্তমানে উপরের দিকে উঠতেছে। নাকি নিচের দিকে যাচ্ছে সেটি বুঝার চেষ্টা করব। যদি উপরের দিকে যায় তাহলে শেয়ারটিকে তিনটি পর্যায়ের কোন পর্যায়ের আছে তা বের করবো।
প্রথম পর্যায় প্রাইস বাৎসরিক লো হতে ০-৩০% এর মধ্যে : প্রাইস যদি বাৎসরিক লো প্রাইস থেকে ০-৩০% মধ্যে থাকে তা হলে আমরা বুঝব শেয়ারটি এখনও বিগ ইনভেস্টর বা স্মার্ট মানির ক্রয়ের মধ্যে আছে। এ পর্যায়কে টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর ভাষায় একুমুলেশান জোন বলা হয়। এই স্টেজে আমরা যদি শেয়ার ক্রয় করি তা হলে আমাদেরকে ধর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ একুমুলেশন জোন তিন থেকে ৬ মাস ও হতে পারে। এ একুমুলেশন পর্যায়ে শেয়ারটি ৩ থেকে ৪ বার হাই -লো তৈরী করতে পারে। এ পর্যায়ে প্রাইসের দাম কম বাড়বে এবং ভলিউম কম হবে বা শুকিয়ে যাবে। ফার্স্ট কোয়াটার বা সেকেন্ড কোয়াটারে একটি শেয়ার একুমুলেশন পর্যায়ে অবস্থান করে। eps খারাপের জন্য অনেক সময় থার্ড কোয়াটারের পরেও অনেক শেয়ারকে এ পর্যায়ে দেখা যায়।
দ্বিতীয় পর্যায় প্রাইস বাৎসরিক লো হতে ৩০-৮০% এর উপর : এ পর্যায়টি আমার সবচেয়ে পছন্দের কারণ এ পর্যায়ে শেয়ার ক্রয় করে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় না। সেকেন্ড কোয়াটার বা থার্ড কোয়াটার ভালো eps ডিক্লারেশন এর পর একটি শেয়ার এ পর্যায়ে প্রবেশ করে। এখন আমাদের পছন্দ করা শেয়ার বাৎসরিক লো হতে ৩০% এর উপরে থাকে তারসাথে টপ ২০ লেনদেনের শীর্ষে এবং টপ ২০ দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকে। তাহলে আমরা শেয়ারটি ক্রয় করার সিদ্বান্ত নিতে পারি। এ পর্যায়ে একটি শেয়ারের দাম ১০ টাকা বাড়লে তা থেকে ৩-৫-৬ টাকা কমবে তারপর আবার প্রাইস আবার বাড়া শুরু করবে। *প্রাইস কমার পর বাড়তে শুরু করলে তখন একটি শেয়ার কিনতে হবে*। এ ভাবে একটি শেয়ার সামনে এগিয়ে যাবে। ক্রয় করার পর এখান থেকে তৃতীয় পর্যায় অর্থ্যাৎ প্রাইস বাৎসরিক হাইয়ের ৮০-১০০% এর মধ্যে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করব। প্রাইস দ্বিতীয় পর্যায় বাৎসরিক লো হতে ৩০-৮০% এর মধ্যে থাকলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর ভাষায় এই জোনটাকে মার্কআপ জোন বলা হয়। এ মার্কআপ জোন ৩-৪ মাস হতে পারে।
তৃতীয় পর্যায় প্রাইস বাৎসরিক লো হতে হাইয়ের ৮০-১০০% এর মধ্যে :
এ সময় রেকর্ডডেট কাছাকাছি চলে আসবে। শেয়ারটি তার সর্বোচ্ছ শক্তি দেখিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করবে। বেশিরভাগ শেয়ার তার আগের বছরের হয় প্রাইস কে অতিক্রম করে যেতে পারবে না। এ পর্যায়ে যদি আমাদের ধৈর্য থাকে এবং সাহস থাকে তাহলে আমরা অপেক্ষা করতে। হার্ট দুর্বল হলে হাতে থাকা শেয়ারটির লাভ তুলে নেয়া উচিত।
টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর ভাষায় প্রাইস বাৎসরিক হাইয়ের ৮০-১০০% এর মধ্যের এ পর্যায়কে ডিস্ট্রিবিউশন জোন বলা হয়। এ জোন ১-২ মাস হতে পারে। এ পর্যায়ে নতুন এন্ট্রি দেয়া কোনভাবেই উচিত না। কারন এরপর রেকর্ডডেট শেষ যাবে। দাম আস্তে আস্তে কমতে থাকবে আর বছরের সর্বনিম্ন দামের কাছে ফিরে যেতে চাইবে।
নোট : বুঝার সুবিধার জন্য এখানে OLYMPIC এর চার্ট দেখানো হয়েছে। এটা কোন বাই -সেল নির্দেশনা নয়। এটি একটি শিক্ষণীয় পোস্ট। সবসময় এরকম নাও হতে পারে।